নাইজিরিয়ার ‘প্রেমে’ পড়েছেন দুই ব্রাজিলিয়ান! কে? কীভাবে? কোথায়? তা জানতে হলে একবার মহমেডানের অনুশীলনে ঢুঁ মারতেই হবে!
মহমেডান কোচ আব্দুল আজিজ বুলার কঠোর অনুশীলনের সময় কেউ হাঁসফাঁস করছেন, কেউ বার বার জল খাচ্ছেন, কেউ আবার চড়া রোদের যুবভারতীতে ছায়া খোঁজার চেষ্টায়। কেউ কেউ আবার আজিজের অনুশীলনে নইম স্যরের ছায়াও দেখছেন। তা সত্ত্বেও মুখে হাসি বজায় রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন সাদা-কালো ফুটবলাররা। কিন্তু মহমেডানের দুই ব্রাজিলিয়ান জোসিমার ও লুসিয়ানো নাকি দারুণ ‘উপভোগ’ করছেন নাইজিরিয়ান কোচের প্র্যাক্টিস। “জানি না অন্যরা কী ভাবছে? তবে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার প্র্যাক্টিসে আমার খুব লাভ হচ্ছে। ফিজিক্যাল ফিটনেস তো বটেই, সারা দিন মানসিক ভাবেও অনেক বেশি সুস্থ বোধ করি। পেনের কাছে শুনলাম, নাইজিরিয়ায় নাকি ওরা এ রকম ট্রেনিংয়েই অভ্যস্ত। এখন ভাবছি, নাইজিরিয়ায় কিছু দিন গিয়ে থেকে আসব,” বলেই হাসতে হাসতে যুবভারতীর ড্রেসিংরুমে ঢুকে পড়লেন লুসিয়ানো সাব্রোসা।
এত কড়া অনুশীলন কখনও করতে হয়নি জোসিমারকেও। বছর তিনেক আগে ইউনাইটেড স্পোর্টসে সুব্রত ভট্টাচার্যের কোচিংয়ে প্রথম বার খেলেছিলেন। শনিবার সকালে জোসিমার ভারতে নিজের সেই প্রথম কোচের কথা মনে করতে গিয়ে বলছিলেন, “সুব্রত এত কড়া প্র্যাক্টিস করাতেন না। উনি বল প্র্যাক্টিসেই বেশি জোর দিতেন। আমরা ব্রাজিলেও ছোটবেলা থেকে এ রকম প্র্যাক্টিসেই অভ্যস্ত। তবে আজিজ একেবারে অন্য রকম। একটু কড়া প্র্যাক্টিস করালেও, অসুবিধা হচ্ছে না। বরং গোটা ব্যাপারটা উপভোগ করছি।”
আজিজের অনুশীলন দেখে প্রথম দিনেই দীপেন্দু বিশ্বাসের মনে ভেসে উঠছে সৈয়দ নইমুদ্দিনের ছবি। বলছিলেন, “এ রকম কোচিং আমার কাছে নতুন নয়। নইম স্যারের কাছে প্রচুর করেছি। অসুবিধা হচ্ছে না।” টোলগের ফিটনেস নিয়ে ধোঁয়াশা কিন্তু কাটছে না। অনুশীলনে তাঁকেই সবচেয়ে ক্লান্ত দেখাচ্ছিল। বারবার জল খেতে মাঠের বাইরে ছুটছেন। একটু দৌড়লেই কোমরে হাত। মহমেডান কোচ নিজেও বাড়তি নজর দিচ্ছেন টোলগের দিকে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, টোলগেকে উইংয়ে খেলাতে চান আজিজ। অন্তত অনুশীলন দেখে তো তাই মনে হল। ৪-৩-২-১ ছক।
|