টুকরো খবর |
অভিযুক্তদের জেল হেফাজত
নিজস্ব সংবাদদাতা |
সল্টলেকে চলন্ত বাসে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী এক মহিলার শ্লীলতাহানি ও তাঁকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার গ্রেফতার হন এক ব্যক্তি। গ্রেফতার হন এক বাসযাত্রীও। ধৃতদের নাম কল্যাণ দে ও ইমন বসু। শনিবার বিধাননগর এসিজেএম আদালতে তাঁদের পাঁচ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। পুলিশ জানায়, শুক্রবার পাঁচ নম্বর সেক্টরের থানার কাছ থেকে বাসে ওঠার পরেই তাঁর হাত ধরে টানাটানি করে কুপ্রস্তাব দেন কল্যাণ। মহিলা অন্যান্য বাসযাত্রীদের ঘটনাটি জানালে ওই ব্যক্তিকে মারধরও করা হয়। পুলিশে খবর গেলে কল্যাণ ও তাঁর পাশে দাঁড়ানো ইমনকে ধরে পুলিশ। পরে মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরা গ্রেফতার হন। শনিবার কল্যাণের বাবা শঙ্কর দে আদালতে পাল্টা অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে ওই মহিলার চক্রান্তের শিকার। ফোনে আলাপের পরে ওই বিবাহিত মহিলার সঙ্গে কল্যাণের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। তাঁকে গয়না, মোবাইল-সহ নানা সামগ্রী দেন কল্যাণ। পরে সম্পর্ক ছেদ হলে সব ফেরত চান। এ নিয়ে কল্যাণকে হুমকিও দেওয়া হয়। ২০১২-র অগস্টে ওই মহিলার নামে থানায় অভিযোগ করেন কল্যাণ। প্রতিশোধ নিতেই কল্যাণকে পাঁচ নম্বর সেক্টরে ডেকে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।
|
পরীক্ষায় বসার দাবিতে বিক্ষোভ |
স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষায় বসার জন্য ক্লাসে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি জরুরি। কিন্তু সেই উপস্থিতি না থাকলেও, পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। শনিবার বেলেঘাটা শুঁড়াকন্যা বিদ্যালয়ের ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর দু’টোর পর থেকে স্কুলের গেটের বাইরে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রায় ৬০ জন ছাত্রী পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি ছিল, কাল, সোমবার থেকে স্কুলের ষাণ্মাসিক পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ রাজি নন। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, ক্লাসে না আসাটা ছাত্রীদের রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে। অনেকেই স্কুলে না এসে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যায়। তা বন্ধ করতেই পরীক্ষায় বসার জন্য স্কুলের পক্ষ থেকে ৭০% উপস্থিতি থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উপস্থিতির হার কম থাকার জন্য, এ বছর পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ১৩২ জন ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দেবযানী দত্ত রায় এ দিন বলেন, “নিয়ম লঙ্ঘন হবে না। স্কুলের পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।”
|
জামিন পেলেন না সারদা-প্রধান |
ভবানীপুর থানার দু’টি মামলায় সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনকে শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। ২৭ অগস্ট পর্যন্ত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। পুলিশ জানায়, ওই দু’টি মামলায় সারদা গোষ্ঠী পরিচালিত দৈনিক বাংলা ও ইংরেজি সংবাদপত্রের বেশ কিছু কর্মী সুদীপ্ত সেন-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা জমা না দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। কর্মীদের বেতন থেকে কাটা কর আয়কর দফতরে জমা না দেওয়া এবং সংবাদপত্রের কার্যালয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি সরানোর অভিযোগও রয়েছে। সুদীপ্ত সেনের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলকে আর্থিক কেলেঙ্কারি, জমি কেলেঙ্কারিতে ফাঁসানো হয়েছে। এ বার সংবাদপত্র প্রকাশনার মামলাতেও ফাঁসানো হল। তিনি সুদীপ্তর জামিনের আবেদন জানান। সরকারি আইনজীবী অভিযুক্তের জামিনের বিরোধিতা করেন।
|
মোটরবাইক চুরির অভিযোগে ধৃত ১ |
মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হল এক যুবক। শুক্রবার সন্ধ্যায় মুকুন্দপুর থেকে ধরা হয় তাকে। ধৃত শুভাশিস ঘোষ ওই এলাকারই বাসিন্দা। একটি বেসরকারি মোবাইল কোম্পানির সিম কার্ড বিক্রেতা সে। পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলটি বিক্রি করতে নাকতলার বাসিন্দা সায়ন চক্রবর্তী ইন্টারনেটে একটি বেসরকারি সংস্থার ওয়েবসাইটে সেটির ছবি সমেত বিজ্ঞাপন দেন। অভিযোগ, তা দেখে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে শুভাশিস। মোটরসাইকেলটি কেনার আগে তা যাচাই করতে সেটি একবার চালিয়ে দেখতে চায় সে। সেই সুযোগেই শুভাশিস চম্পট দেয় বলে জানায় পুলিশ। ওই দিনই সায়নবাবু পাটুলি থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই ধরা হয় শুভাশিসকে। উদ্ধার হয়েছে মোটরসাইকেলটি।
|
দুর্ঘটনায় মৃত ১ |
ট্রেলারের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক মোটরসাইকেল চালকের। শুক্রবার রাতে, খিদিরপুরের সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোডে। মৃত তনভির আলম (৩০) নাদিয়াল থানা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, গার্ডেনরিচের দিকে যাওয়ার সময়ে খিদিরপুরের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা মারে ট্রেলারটি। আহত তনভিরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
|
হাসপাতালে শিশির অধিকারী |
বুকে ব্যথা নিয়ে ইএম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শনিবার ভর্তি হলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারী। তাঁর ছেলে, সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বাবা ভালই রয়েছেন।” হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, চিকিৎসকরা তাঁর অ্যাঞ্জিওগ্রাম, ইসিজি করে কোনও অস্বাভাবিকতা পাননি। আজ, রবিবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। শিশিরবাবুর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর অন্য দুই ছেলে তথা বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী ও কাঁথির পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী।
|
সাক্ষীকে ভয় দেখানোর অভিযোগ |
জামিনে মুক্তি পেয়েই সাক্ষীকে ভয় দেখানের অভিযোগ উঠল এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। পরে দুষ্কৃতীর বাড়ি ভাঙচুর চালালো এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার রাতে পাটুলি থানার বাঘাযতীন এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানায়, ওই দুষ্কৃতীর নাম জয়ন্ত। সে একটি খুনের চেষ্টার মামলার আসামী। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, উভয় পক্ষই শাসক দলের সমর্থক। পুলিশের দাবি, কিছু দিন আগেই জামিনে ছাড়া পান জয়ন্ত। তার পরেই সে বৃহস্পতিবার রাতে খুনের চেষ্টার মামলার অন্যতম এক সাক্ষীকে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায়। অভিযোগ, পর দিন সাক্ষীর প্রতিবেশিরা বাঘাযতীনে ১৭বি বাস স্ট্যান্ডের কাছে জয়ন্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালান। পরে পুলিশ গিয়ে অবস্থা আয়ত্বে আনে।
|
আরও জাল নোট |
ব্যাঙ্কে জাল নোট জমা করার অভিযোগে ধৃত দম্পতির বাড়ি থেকে শুক্রবার উদ্ধার হল আরও সাড়ে সতেরো হাজার টাকার জাল নোট। এই ঘটনায় ধৃত বিশ্বনাথ মিত্র ও জুরিখা মিত্রকে শনিবার ফের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। বিশ্বনাথের ফের পুলিশি হেফাজত ও জুরিখার জেল হেফাজত হয়। সম্প্রতি সল্টলেকে ওই ব্যাঙ্কে ৩০টি ৫০০ টাকার জাল নোট জমা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ওই দম্পতিকে। |
পুরনো খবর: জাল নোট, দম্পতি পাকড়াও |
|