উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসের পঠনপাঠন শুরু হয়ে গেল শুক্রবার থেকে। আপাতত কলা বিভাগের চারটি বিষয় নিয়ে শুরু হলেও আগামী এক বছরের মধ্যেই কারিগরি বিভাগ-সহ চারুকলা বিভাগের পাঠক্রম শুরু হতে চলেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। দুপুর একটার সময়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে বিকেল তিনটে থেকে নতুন ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাস শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও। জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসের নিজস্ব ভবন তৈরি না হওয়া পর্যন্ত জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভবনে ক্যাম্পাসের কাজ চলবে।
ক্যাম্পাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরে বিশ্ববিদালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনাতেই আগামী এক বছরের মধ্যে নতুন বেশ কয়েকটি পাঠক্রম চালুর বিষয় স্থির হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত, ভূগোল এবং ফলিত ভূগোল বিভাগ নিয়ে ক্যাম্পাসের কাজ শুরু হলেও চলতি বছরেই চারুকলা এবং ফুড অ্যান্ড ফার্মাসুটিকল টেকনোলজি বিভাগ শুরু করার চেষ্টা চলছে। চারটি বিষয়ে ১৪০ জন ছাত্রছাত্রীর ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্র সংখ্যাও বাড়ানো হবে। |
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “উত্তরবঙ্গের শিক্ষা বিস্তারের জন্যই এই উদ্যোগ। জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসের নতুন ভবন চালু হওয়ার পরে আরও নতুন বিষয়ে পড়াশোনা হবে। তবে আমরা চাইছি আগামী এক বছরের মধ্যে অস্থায়ী ভবনেই চারুকলা-সহ বেশ কয়েকটি নতুন বিভাগ চালু করে দিতে। পাশাপাশি স্থায়ী ভবন নির্মাণের কাজও দ্রুত গতিতে করা হবে।”
জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসের স্থায়ী ভবন তৈরির বিষয়টি দেখভাল করছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। এদিন গৌতমবাবু বলেন, “পূর্ত দফতর ওই ভবন নির্মাণ করছে। আজকেই ভবন তৈরির জন্য মাটি পরীক্ষার টেন্ডার করা হয়েছে। রাজ্য সরকার প্রায় ৪২ কোটি টাকা ভবন তৈরিতে মঞ্জুর করছেন। জলপাইগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের শিক্ষার স্বার্থেই যাতে দ্রুত ভবন তৈরির কাজ শেষ করার জন্য পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও এবিষয়ে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরানো শিক্ষক শিক্ষিকারই জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস নেবেন। পাশাপাশি অতিথি শিক্ষকরাও নিয়মিত বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস নেবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমীর কুমার দাস। তিনি বলেন, “জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসের উৎকর্ষতা বজায় রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। মূল ক্যাম্পাসের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই জলপাইগুড়িতেও ক্লাস হবে। প্রশাসনিক কাজকর্মের সুবিধার জন্য ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অফিসও রয়েছে।”
এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসুরায়চৌধুরী, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইন্দ্রজিৎ রায়, জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ জ্যোর্তিময় ঝম্পটি-সহ শিক্ষাবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
|