গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) বাতিলের দাবিতে আগামী ১৯ অগস্ট ২৪ ঘন্টার রাজ্যব্যাপী বনধের ডাক দিয়েছে বাংলা ও বাংলা ভাষা বাঁচাও কমিটি। তবে পাহাড়ের পাল্টা সমতলের এই ধরণের বনধের রাজনীতি নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “পাহাড়-সমতল কোথাও কোন বনধ করতে দেওয়া হবে না। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তরে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে বাংলা ও বাংলা ভাষা বাঁচাও কমিটি সভাপতি মুকুন্দ মজুমদার বলেন, “গোর্খাল্যান্ডের বিরোধিতায় এই বনধ কেন প্রশাসন আটকে দিতে চাইছেন তা বুঝতে পারছি না। গত বুধবার বনধের প্রচার করতে গেলে আমাদের মাইক, রিকশা চালককে আটকে রাখা হয়।”
পাশাপাশি শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে জনচেতনা নামের সংগঠনের তরফে দেবপ্রসাদ কর জানান, আমরা গোর্খাল্যান্ডের স্বপক্ষে বা বিপক্ষে নই। ভারতে প্রচুর সংখ্যক অনুপ্রবেশকারী নেপালি ভাষার মানুষ রয়েছে। কোন ভাবেই তাঁদের এই দাবি মেনে নেওয়া যাবে না। তবে ১৯ অগস্টের বনধকেও আমরা সমর্থন করছি না।
বনধে জনজীবন স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানিয়ে এদিন বৈঠক করেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। এদিন পুলিশ কমিশনারেটের বৈঠকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, হোটেল মালিক, ট্যুর অপারেটর, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা হবে।
ব্যবসায়ী সংগঠন ফোসিনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “কমিশনার আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমি সেই বার্তা, সংগঠনের সমস্ত সদস্যদের জানিয়ে দিয়েছি।” হোটেল মালিক অ্যাসেসিয়েশনের সম্পাদক কৃষ্ণচন্দ্র ঘোষ বলেন, “পুলিশ অনুরোধ না জানালেও আমরা পরিষেবা দিতাম। পুলিশের আশ্বাস পেয়ে আমরা খুশি।” শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি স্কুলের কর্ণধার অমিত সাংহাই বলেন, “পুলিশের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। তাই আমরাও স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” |