গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল কুমারগ্রামে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে এক আরএসপি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে মহিলা অপহরণের জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা চলছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার দুপুরে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হতেই অভিযুক্ত ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয় তৃণমূল। প্রবল বিক্ষোভে মধ্যে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া থমকে যায়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থামাতে এলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর পরেই র্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আপাতত ওই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে বলে মহকুমা শাসক শিশির লেপটা জানান। তিনি বলেন, “পরবর্তী দিনক্ষণ পরে ঘোষণা করে দেওয়া হবে।” আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” ওই অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতারের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভও করে তৃণমূল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই পঞ্চায়েত সদস্যের নাম শ্যামল দাস। তিনি উত্তর হলদিবাড়ি গ্রাম থেকে জিতেছেন। গত মঙ্গলবার শ্যামলবাবুর বিরুদ্ধে ওই গ্রামের কিশোর দর্জি নামে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগ করেন। তাঁর কোনও না মিললেও এদিন বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়ার সময় পঞ্চায়েতে অফিসে আসতেই গোলমাল শুরু হয়। শ্যামলবাবুর দাবি, “পুরোটাই চক্রান্ত। আমি কোনও অপহরণে জড়িত নই।” পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৭। এরমধ্যে বামফ্রন্ট-১১, তৃণমূল কংগ্রেস-৫ ও নির্দল-১ টি আসন পেয়েছে। আরএসপি-র কুমারগ্রাম জোনাল সম্পাদক দীপক দাস বলেন, “তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল না করতে না পেরে আমাদের এক পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ নোংরা রাজনীতি করছে।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা স্বপন কুজুর, প্রেমানন্দ দাসদের অভিযোগ, “আমরা চাই স্বচ্ছবোর্ড গঠন হোক।’’ এদিন আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের তুরতুর ও টটপাড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে বামফ্রন্ট এবং কোহিনূর গ্রাম পঞ্চায়েতে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস জোট করে বোর্ড দখল করেছে। কুমারগ্রাম ব্লকের ভল্কা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ও চ্যাংমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং এনকেএস গ্রাম পঞ্চায়েত ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা, মোর্চা ও কংগ্রেস জোট বোর্ড গঠন করেছে। |