মুখোমুখি...
বীরাঙ্গনা
মা চেকোস্লাভাকিয়া-র। বাবা পাকিস্তানি। অভিনেত্রী নার্গিস ফাখরি অবশ্য নিজেকে বিশ্বনাগরিক বলতেই পছন্দ করেন। বেড়ে ওঠা নিউ ইয়র্কে। তার পর বিভিন্ন দেশে গিয়ে প্রচুর মডেলিং করেছেন। হঠাৎ এক দিন ঝোঁক চাপে ভারতে আসার। সোজা মুম্বই। সেখান থেকে বলিউড। তার পর রণবীর কপূরের সঙ্গে প্রথম ছবি। ইমতিয়াজ আলির ‘রকস্টার’। দ্বিতীয় ছবি জন আব্রাহামের বিপরীতে। সুজিত সরকারের ‘ম্যাড্রাস কাফে’। সেখানে তিনি এক যুদ্ধ-সংবাদদাতা। আগামীতে করছেন ডেভিড ধবনের ‘ম্যায় তেরা হিরো’। তার পর বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ‘সৌকিন’-য়ের রিমেকে তিনি। অক্ষয়কুমারের বিপরীতে। জীবনযুদ্ধের নানা ওঠা-পড়া থেকে বলিউডের নিঃসঙ্গতা। তাঁর সেক্স অ্যাপিলের রহস্য থেকে প্রেম। ‘পত্রিকা’র সঙ্গে অন্তরঙ্গ নার্গিস।

পত্রিকা: ‘ম্যাড্রাস কাফে’ ছবিতে তো আপনি এক জন যুদ্ধ-সংবাদদাতা। নার্গিস ফাখরির জীবন-যুদ্ধের রিপোর্ট লিখতে গেলে কোন লড়াইটাকে শিরোনামে রাখবেন?
নার্গিস: এ ভাবে তো ভেবে দেখিনি কোনও দিন। বেশ ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন। মনে হয় ভারতে এসে হিন্দি ছবি করার সাহসটাই আমার সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।

ছবি: রোহন শ্রেষ্ঠা
পত্রিকা: শুনেছি বারো বছর বয়সে আপনি নিউইয়র্কে রোজগার করা শুরু করেছিলেন। আপনার মা একা হাতে দুই মেয়েকে মানুষ করেছেন। ওই রকম একটা সমাজে তো অভিবাসীদের সম্পর্কে একটা স্পর্শকাতরতা কাজ করে। সেটাই কি আপনার জীবনে প্রথম লড়াই?
নার্গিস: এটা ঠিক যে মা’কে অনেক লড়াই করতে হয়েছিল। বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর মা আমাদের দুই বোনকে মানুষ করেছিলেন। সাধারণত বাচ্চারা তো বাবা-মাকে একসঙ্গে দেখে। আমাদের জীবনটা ছিল ব্যতিক্রমী। বারো-তেরো বছর বয়স থেকেই রোজগার করতে শুরু করি। টাকা রোজগারের জন্য তিন রকমের কাজ করেছি নিউ ইয়র্কে। প্রতিবেশীর ঘর পরিষ্কার করেছি। শীতকালে কোদাল দিয়ে বরফ চেঁছেছি। দোকানের কাউন্টারে দাঁড়িয়ে মুদিখানার জিনিস প্যাক করতাম। তবে কী জানেন? আমাদের দেশে এ সব বাচ্চারা করছে শুনলে মনে হবে বড় স্ট্রাগল। আমেরিকাতে আমি যখন এগুলো করি তখন আমার কিন্তু ও সব মনে হয়নি।

পত্রিকা: বাবাস্থানীয় কেউ না থাকায় এক ভাবে বড় হয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রিতেও কোনও ফাদারফিগার ছিল না আপনার। আপনি আজ যে এতটা বলিষ্ঠ ভাবে গড়ে তুলেছেন নিজেকে, সেটা কি পিতৃস্থানীয় কেউ ছিলেন না বলেই?
নার্গিস: মা শিখিয়েছিলেন কী ভাবে সব সময় স্বাধীন ভাবে চলতে হয়। যখন কেউ একটা কঠিন পরিস্থিতির মাধ্যে দিয়ে যায় তার দুটো রাস্তা থাকে। একটা হল হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকা। আর একটা হল দুঃখ না করে এগিয়ে যাওয়া। জোর কদমে হাঁটা। ফাস্ট ফরওয়ার্ড করে দিতে হয় জীবনকে। আমি সাঙ্ঘাতিক রকমের স্বাধীনচেতা মানুষ। সারা বিশ্ব চষেছি। তবে ভারতে আসাটা আমার কাছে খুব কঠিন একটা সিদ্ধান্ত ছিল। আমি এখানকার কিছুই জানতাম না। এমনকী এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কী ভাবে কাজ হয় সবই অজানা ছিল। মনে হয়েছিল আবার যেন শৈশবে ফিরে গিয়েছি।

পত্রিকা: এত ঝুঁকি নিয়ে ভারতে এলেন কেন তা হলে?
নার্গিস:‘রকস্টার’ করার আগে আমার মধ্যে আধ্যাত্মিক টান তৈরি হয়। আমি যে-মাটির মানুষ তার ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে করে। বাবা পাকিস্তানের। সেই দেশে আমি কোনও দিন আমি যাইনি। ভারত এমন একটা দেশ যে-দেশে এলে পাকিস্তানের সব চেয়ে কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া যায়। আমার মা চেক। আমি নিজেকে বলি বিশ্বের নাগরিক। তার পর মডেলিংয়ের কাজের সূত্রে প্রচুর দেশ দেখেছি। তবে ইচ্ছে ছিল নিজের ঐতিহ্য জানার। আর তার জন্যেই পাড়ি দিয়েছিলাম ভারতে নিজের শিকড়কে জানতে।

পত্রিকা: বড় হওয়ার পরে বাবার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ হয়?
নার্গিস: না। উনি মারা গিয়েছিলেন।

পত্রিকা: ওহ, আই অ্যাম সরি...
নার্গিস: না। ঠিক আছে।

পত্রিকা: আচ্ছা কেউ কেউ বলে থাকেন ‘ম্যাড্রাস কাফে’-তে সাংবাদিক অনিতা প্রতাপের চরিত্রের সঙ্গে আপনার মিল আছে। যিনি এলটিটিই-র শীর্ষ নেতা প্রভাকরনের প্রথম সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছিলেন।
নার্গিস: দেখুন, মানুষ অনেক রকমের যোগসূত্র বের করছেন। অনিতা প্রতাপের চরিত্র আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল এটা ঠিকই। কিন্তু সিনেমাটায় আমি ওঁর চরিত্রে অভিনয় করিনি। হয়তো ছবির প্রস্তুতির জন্য আমাকে ওঁর কাজ নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়েছে...। যুদ্ধ সংবাদদাতাদের জীবনটা আমার কাছে একেবারেই নতুন। আগে টেলিভিশনের পরদায় যুদ্ধ সম্পর্কে খবর দেখতাম। কিন্তু যা হয়, খানিকক্ষণ ও সব খবর দেখার পর অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়তাম। তার পর আর ও নিয়ে তেমন ভাবিনি। কিন্তু এখন এই ফিল্মটা করতে গিয়ে তো বুঝলাম এই পেশাটা সাঙ্ঘাতিক ঝুঁকিবহুল! স্বেচ্ছায় নিজেকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়াটা অত্যন্ত কঠিন একটা সিদ্ধান্ত। কুর্নিশ জানাই যে মহিলারা এ কাজ করছেন। অভিনয় করতেও বেশ ঝক্কি পোয়াতে হয়েছে। একটা অতর্কিত আক্রমণের দৃশ্যের শু্যটিং করতে গিয়ে তো দেখি সত্যি একটা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মুখে কাঁটা। গা আঁচড়ে গিয়েছে। কাদা লেপটে গিয়েছিল গায়ে। সে অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা।

পত্রিকা: আপনার দুই সহ-অভিনেতা রণবীর আর জন আব্রাহাম। দু’জনের সঙ্গে সম্পর্কটা কী রকম?
নার্গিস: দু’জন একদম আলাদা। দু’জনেই দারুণ মানুষ। বন্ডিংয়ের দিক দিয়ে বলতে গেলে আমাকে রণবীরের কথা আগে বলতে হবে। প্রথম সিনেমা একসঙ্গে করেছি। বেশি সময় কাটিয়েছি রণবীরের সঙ্গে। ইমতিয়াজ, রণবীর আর আমি একসঙ্গে অনেক আড্ডা দিয়েছি। আমাদের শখগুলো বেশ মিলে যায়। জন-য়ের সঙ্গে ‘ম্যাড্রাস কাফে’-তে কাজ করেছি। জন-য়ের একটা মাচো ইমেজ থাকলেও ও কিন্তু বেশ মৃদুভাষী। কাজ করে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছি।

পত্রিকা: বলিউড সম্পর্কে বলতে গিয়ে আপনি অনেক সময় বলেছেন যে এই ইন্ডাস্ট্রি আপনাকে একাকী করেছে। বলিউড না মডেলিং কোন দুনিয়ায় একাকীত্ব বেশি?
নার্গিস: একাকীত্ব মডেলিংয়েও ছিল। লোকে বলে ভিড়ের মধ্যে সব থেকে বেশি একা লাগে। আমার কাছে নিজেকে পরীক্ষা করার সব থেকে বড় উপায় ছিল এর মধ্যে দিয়ে যাওয়া। ভেতরের শক্তিটা তখন যাচাই করে নেওয়া যায়। মডেলিংয়ের দুনিয়াটা বেশ কেয়ার-ফ্রি। যদিও একটা রেগুলার জীবন নয়, তবু এটা বলব যে ওখানকার নিয়ম হল নিজের কাজ করো। আর তার পর কেউ আপনাকে বিরক্ত করবে না।
কিন্তু বলিউড সম্পূর্ণ আলাদা একটা জায়গা। প্রথম যখন ইন্ডাস্ট্রিতে আসি, তখন তো দেখতাম আমাকে নিয়ে যা-তা লেখা হচ্ছে। প্রাইভেসি বলেই কিছু ছিল না আমার। যার-তার সঙ্গে লিঙ্ক-আপ করে দেওয়া হত। রোজ দেখতাম ছবি ছাপানো হচ্ছে। সেটা যথেষ্ট প্রভাবিত করত আমায়। ইট ওয়াজ ওভারহোয়েলমিং অ্যান্ড হার্ড। ব্যক্তিগত জীবনে মিডিয়ার এই ঢুকে পড়া একাকিত্ব বাড়িয়ে দিতে পারে।

পত্রিকা: এই যে ইমতিয়াজ আলি থেকে রণবীর কপূর, শহিদ কপূর থেকে সায়ন মুন্সি সবার সঙ্গে আপনার লিঙ্ক-আপের খবর বেরিয়েছে। এত রটনা দেখে কি কখনও ভাবতেন যে খবরের কাগজ পড়া বা এন্টারটেনমেন্ট চ্যানেল দেখা ছেড়ে দেবেন?
নার্গিস: আরে সেটা তো অনেক দিন আগেই হয়েছে। প্রথম প্রথম গুজব আর আসল খবরের মধ্যে তফাতটা তো বুঝতাম না। আমি তো ভাবতাম যা বেরোচ্ছে, সেটাই বোধহয় সত্যি খবর। লোকেও সেটা ভাবত বলে আমার ধারণা ছিল। শেষে প্রায় বীতশ্রদ্ধ হয়ে পেপার পড়া বন্ধ করলাম। গসিপ চ্যানেলও দেখা বন্ধ হয়ে গেল। শুধু বিবিসি আর সিএনএন-এর মতো নিউজ চ্যানেল দেখতাম। সারা পৃথিবীতে কী কী হচ্ছে, সেটা জানার জন্য।

পত্রিকা: এক দিকে নিজে সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করছেন, আর অন্য দিকে সেই মিডিয়াই অনেক ক্ষেত্রে আপনাকে ব্যতিব্যস্ত করেছে। এটাই কি আপনার জীবনের অন্যতম প্যারাডক্স?
নার্গিস: হুমম... একটা সময় ছিল যখন খবরের কাগজ খুললেই দেখতাম আমার সঙ্গে এই অভিনেতার লিঙ্ক-আপ। না হয় কোনও পরিচালকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা। মডেলিং করার সময় তো কোনও দিন এ সবের মুখোমুখি হইনি! বেশ বিভ্রান্ত লাগত। আর বোকাবোকাও। শুরুর দিকে ইন্ডাস্ট্রিতে এসে বন্ধু তৈরি করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু দেখি কারও সঙ্গে কফি খেলেই পরের দিন কাগজে লেখা হচ্ছে যে আমি নাকি ওকে ডেট করছি। আস্তে আস্তে গুটিয়ে নিই নিজেকে। এ ভাবে একজন মহিলাকে নিয়ে বারবার লেখা হলে তো বেশ আপত্তিকর একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। যাঁর সঙ্গে আমি ডেট করব, তিনি তো আমার জীবনে এক জন বিশেষ ব্যক্তি হবেন। আমার তো তাঁকে নিয়ে গর্ব হবে। এটা তো হতে পারে না কোনও পুরুষের সঙ্গে আমার দেখা হওয়া মানেই আমি তাঁকে ডেট করছি! আই কান্ট বি গোয়িং অ্যারাউন্ড উইথ এভরি গাই!
‘ম্যাড্রাস ক্যাফে’
পত্রিকা: এই যে উদয় চোপড়া আর আপনার প্রেম নিয়ে এত কথা হয়েছে, টুইটারে কত রসিকতা! এ নিয়ে আপনি কী বলবেন?
নার্গিস: আমার কিছু বন্ধু আছে। আর আমি তাদের বন্ধু হিসেবেই দেখতে চাই।

পত্রিকা: আপনার কাছে প্রেমের সংজ্ঞাটা ঠিক কী?
নার্গিস: প্রেম খুবই বিরল। বিশেষ করে আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। সময় কোথায় কাউকে ভাল করে জানার? মানুষ প্রেমে পড়বে কী করে?

পত্রিকা: বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাস আছে আপনার?
নার্গিস: আমি এখনও জানি না আমার এই বিশ্বাসটা আছে কি না। এখন আমি একটা পাঁচিলের উপর বসে। হ্যাঁ বা না কোনওটাই বলতে পারছি না। যে দিন উত্তরটা নিজের কাছে স্পষ্ট হবে, সে দিন আপনাকে নিশ্চয়ই জানাব।

পত্রিকা: বহু পুরুষ আপনার টোনড্ শরীর, লাস্যময়ী ঠোঁট আর সেক্স অ্যাপিল নিয়ে ফিদা। এটা শুনতে কেমন লাগে আপনার?
নার্গিস: সত্যি বলব? বেশ হাসি পায়। সুন্দর দেখতে বললে নিশ্চয়ই খারাপ লাগে না। কিন্তু যাঁরা আমাকে সত্যি সত্যি জানেন, তাঁরা বোঝেন যে নার্গিসের মধ্যে আরও অনেক কিছু আছে।

পত্রিকা: তার মানে আপনি শুধুমাত্র ‘স্মোকিং হট’ নন? তাই তো?
নার্গিস: (হাসি) কোনও দিন শুধু ওপরের মলাটটা দেখে একটা বইয়ের গুণমান যাচাই করা উচিত নয়।

পত্রিকা: সুজিত বলছিলেন আপনার রসবোধটা নাকি মারাত্মক! একটা রমকমও করতে চান আপনার সঙ্গে...
নার্গিস: এক বার হাসতে শুরু করলে আমাকে থামানো খুব কঠিন। যাঁরা আমাকে জানেন, তাঁরা বোঝেন আমার এই রসবোধের কথা। জীবনে অনেক কিছু দেখেছি তো। রসবোধ না থাকলে হয়তো শুধুমাত্র দুঃখ নিয়েই কাটিয়ে দিতাম। এই তো সে দিন অনুপম খেরের একটা কথা রিটুইট করলাম। উনি লিখেছিলেন: ‘আওয়ার ফাইভ সেন্সেস আর ইনকমপ্লিট উইথআউট দ্য সিক্সথ। আ সেন্স অব হিউমার)’। কী অসাধারণ একটা লাইন!

পত্রিকা: তবু আপনার ইমেজের সঙ্গে কেউ আপনার রসবোধ নিয়ে কথাই বলে না। এ ভাবে সেক্সি ইমেজে বদ্ধ করে রেখে দেওয়াটাই কি আপনার হাসির কারণ?
নার্গিস: আরে, মজা পাই এ সবে। আমি চেষ্টা করি আমার সব সহ-অভিনেতা আর পরিচালকের সঙ্গে ভাল ভাবেই মিশতে।

পত্রিকা: তিনটে কী এমন জিনিস আছে যা আপনার ভক্তরা আপনার সম্পর্কে আজও জানেন না?
নার্গিস: হুমম... এই রসবোধের কথাটা অনেকেই জানেন না। আর আমি খুব ইমোশনাল। সহজেই কেঁদে ফেলি। আর একটা কথা। এক সময় নিজের জামা নিজেই ডিজাইন করতাম। শিল্পী ছিলাম। অ্যাক্রিলিকে কাজ করতাম। আরও একটা সিক্রেট আছে। এই প্রথম বলছি। আমি মানুষের ব্যবহার আর মনস্তত্ত্ব নিয়ে চর্চা করতে ভালবাসি। ‘হোলিস্টিক রিট্রিট’ আমার পছন্দ। এখন কাজ করে টাকা জমাচ্ছি যাতে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে নিজের জন্য একটা ফার্ম কিনতে পারি, যেখানে ‘হোলিস্টিক রিট্রিট’-য়ের বন্দোবস্ত থাকবে! আপাতত এটাই আমার স্বপ্ন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.