|
|
|
|
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে স্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
বেতন বাড়ানোর দাবিতে এ বার হলদিয়ায় সিপিটি সমবায় সংস্থার স্থায়ী কর্মীরা আন্দোলনে নামায় ফের জটিলতা তৈরি হল। শুক্রবার সকালে ওই সমবায় সংস্থার প্রায় ৫০জন স্থায়ী কর্মী টানা দু’ঘন্টা বন্দর (সিপিটি) সমবায়ের ম্যানেজারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। মহকুমাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস মেলায় বিক্ষোভ উঠে যায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অস্থায়ী শ্রমিকদের দাবি মতো মজুরি বাড়ানো হলেও সমবায়ের স্থায়ী কর্মীদের দীর্ঘদিন বেতন বৃদ্ধি হয় নি।
বন্দর সমবায় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সমবায়ে প্রায় ৫০জন স্থায়ী কর্মী ভুসিমাল, দুগ্ধ, সবজি, ইলেকট্রনিক্স সহ বিভিন্ন পরিষেবায় কাজ করেন। পাঁচ বছর আগে তাঁদের শেষবারের মতো বেতন বেড়েছিল। এখন ওই সমবায় সংস্থার তৃতীয় শ্রেণির কর্মীরা বেতন ও মহার্ঘভাতা মিলিয়ে মোট ২৩৯২টাকা এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা ২১৯৪ টাকা পান। গত বছরে তাঁরা সেই বেতন বাড়িয়ে তৃতীয় শ্রেণির ক্ষেত্রে ৬৪৭০ টাকা ও চতুর্থ শ্রেণির ক্ষেত্রে ৬৩২০ টাকা করার জন্য সমবায়ের ম্যানেজারের কাছে দাবি সনদ জমা দেন। তবে সমবায়ের বোর্ড নিয়ে সমস্যা চলায় তা আর বাড়েনি। সম্প্রতি ওই সমবায়েরই এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ওঠানো নামানোর কাজে নিযুক্ত অস্থায়ী শ্রমিকেরা মজুরি বাড়ানোর দাবিতে ১ অগস্ট থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। ফলে হলদিয়া উপ নগরী জুড়ে বন্ধ হয়ে যায় রান্নার গ্যাস সরবরাহ। অবশেষে গত ১৪ অগস্ট মহকুমাশাসকের ডাকা বৈঠকে শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী সিলিন্ডার প্রতি ওঠানো নামানো মিলিয়ে মজুরি ১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা করা হয়।
এ দিন সমবায়ের স্থায়ী কর্মীরা তাঁদের দাবি সনদ অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি না হওয়ায় ম্যানেজারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। তৃণমূল পরিচালিত ওই কর্মী সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ দীপঙ্কর মাইতি বলেন, “আমাদের বেতন বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিনের। অস্থায়ী শ্রমিকদের বেতন যদি সমবায়ের বোর্ড না থাকা সত্ত্বেও বাড়তে পারে। তবে আমাদের মজুরি কেন বাড়বে না? দাবি পূরণ না হলে আমরা লাগাতার আন্দোলনে নামবো।” সিপিটি সমবায়ের ম্যানেজার নন্দলাল দিন্দা বলেন, “বোর্ড না থাকাতেই সমস্যা হচ্ছে। আমি মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাবো। তার পর কি হয় দেখা যাক।” |
|
|
|
|
|