|
|
|
|
স্বাধীনতা দিবসে নানা অনুষ্ঠান |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
দুই মেদিনীপুরেই উৎসাহ, উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হল ৬৭তম স্বাধীনতা দিবস।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কাঁথি শহরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সকালে ছাত্রছাত্রীদের প্রভাত ফেরী বের হয়। কাঁথি পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মূর্তিতে মালা দেওয়া হয়। কাঁথির ঐতিহাসিক দারুয়া ময়দানে প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী সুশান্তকুমার মাইতির আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন ও তাঁর নামাঙ্কিত সরণীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও মন্ত্রী সুধীর দাসের স্ত্রী সুনীতি দাস, জাতীয় শিক্ষক অমিয় বরণ ভৌমিক প্রমুখ। কাঁথি থানা ও কাঁথি মহিলা থানায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কাঁথি থানার আইসি সোমনাথ দত্ত।
কাঁথি ক্লাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ক্লাব-সভাপতি অমিতাভ মাইতি। ছিলেন ক্লাব সম্পাদক তিমিরবরণ পন্ডা, সহ-সম্পাদক কৃষ্ণেদু মাইতি প্রমুখ। শহরে সাংবাদিকদের অন্যতম সংগঠন প্রেস রিপোটার্স ফোরামের নতুন অফিস গৃহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা ছাড়াও নিজস্ব অফিস ঘরের উদ্বোধন হয়। ভগবানপুর ২ ব্লকের পাঁউশিতে পাঁউশি অন্ত্যোদয় অনাথ আশ্রমের আবাসিক ছেলেমেয়েরা আশ্রমে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। পথ নাটিকাও মঞ্চস্থ হয়। অনাথ ছেলেমেয়েদের মধ্যাহ্ন ভোজনে আপ্যায়ন করেন আশ্রমের কর্ণধার বলরাম করণ। আয়োজিত হয় ফুটবল প্রতিযোগিতাও। খেলায় মারিশদা থানা একাদশ ৮-০ গোলে বিডিও প্রদীপ্ত বিশ্বাস নেতৃত্বাধীন কাঁথি ৩ নম্বর ব্লক একাদশকে পরাজিত করে। |
|
স্বাধীনতা দিবসে মেদিনীপুর কালেক্টরেটে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল |
বৃহস্পতিবার সকালে তমলুকে জেলা প্রশাসনিক ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলাশাসক অন্তরা আচার্য। অনুষ্ঠানে যোগব্যায়াম প্রদর্শন ও নাচ-গান পরিবেশিত হয়। তমলুক রাজ ময়দানে তাম্রলিপ্ত স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে বুধবার মধ্যরাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। এই উপলক্ষে বুধবার রাত ৮টা থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। তমলুক পুরসভা, জেলা কংগ্রেস কার্যালয়-সহ জেলার সমস্ত সরকারি দফতরের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
তমলুক শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিকেলে শিশুদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ও সন্ধ্যায় আলোচনাসভার আয়োজন করে। সেখানে ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, তমলুক পুরসভার তৃণমূল দলনেতা পৃথ্বীশ নন্দী, প্রাক্তন পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন প্রমুখ। শুক্রবার এই উপলক্ষে স্থানীয় রামসীতা বারোয়ারি হলে রক্তদান শিবিরের আয়োজিত হয়।
প্রভাত ফেরী, পতাকা উত্তোলন ছাড়াও স্বাধীনতা দিবসে নানা অনুষ্ঠান হল ঘাটাল মহকুমায়। এ দিন ঘাটাল মহকুমাশাসকের দফতরে পতাকা উত্তোলন করেন মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই, দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া, প্রদীপ্ত আচার্য প্রমুখ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গেই শ্রম দফতরের উদ্যোগে অসংগঠিত শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্য, মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে আর্থিক সঙ্গতিহীন ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্য, এক কৃতি ছাত্রকে ল্যাপটপ এবং বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এ ছাড়াও ঘাটাল পুরসভার উদ্যোগে শিলাবতী নদীতে সাঁতার প্রতিযোগিতা হয়। শহরের দুটি রাস্তার (পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে) নেতাজী এবং শহীদ ক্ষুদিরাম রোড হিসাবে নামকরণও করা হয়। অন্য দিকে চন্দ্রকোনা শহরে একটি সংস্থার উদ্যোগে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীদের ফল বিতরণ করা হয়। |
|
এগরা থানায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন। ছবি: কৌশিক মিশ্র |
ঘাটাল শহরে অগ্রণী ক্লাবের উদ্যোগে চার দলীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়। ঘাটাল থানাতেও ওই দিন একাধিক অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়্গপুর) বি ভি চন্দ্রশেখর, ডিএসপি (ক্রাইম) দেবজ্যতি চক্রবর্তী, সিআই আসিত সামন্ত প্রমুখ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও সাড়ম্বরে স্বাধীনতা দিবস পালিত হল। সরকারি অফিস, আদালত, ব্যাঙ্ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনসকলেই মেতে উঠেছিলেন আনন্দে। কোথাও সাত সকালেই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, কোথাও পতাকা উত্তোলনের পর দেশাত্মবোধক গান, নাচ, আবৃত্তি, কোথাও বা বস্ত্র বিতরণ, আবার কোথাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভোজের আয়োজন ছিল। প্রতি বছরের মতোই ওই দিনও বিধি মেনে জেলাশাসকের অফিসে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি, অতিরিক্ত জেলাশাসকও জেলার বিভিন্ন আধিকারিকেরা। অন্য দিকে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসেও স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিভিন্ন স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীরা শোভাযাত্রায় যোগ দেয়। খড়্গপুর শহরেও যথাযথ মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। ব্লক অফিসগুলিতে পতাকা উত্তোলনের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়। সবংয়ের নানা জায়গায় পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি গরিবদের বস্ত্র বিতরণ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়। |
|
|
|
|
|