পূর্ব কলকাতা
পানিহাটি
পায়ে পায়ে দুর্ভোগ
থা ছিল প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কেএমডিএ রাস্তা মেরামত করে দেবে। কিন্তু কেএমডিএ তা করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে রাস্তা জুড়ে কোথাও মাটির ঢিবি, কোথাও গর্ত। বর্ষার জল জমে রয়েছে। প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। এই অবস্থা পানিহাটি পুরসভার একাধিক রাস্তার।
গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের অধীন এই প্রকল্পে গঙ্গার জল শোধন করে ১৩টি ওভারহেড রিজার্ভারের মাধ্যমে পানিহাটি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে পৌঁছে দেওয়া হবে।
২৬৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পের দায়িত্ব আছে কেএমডিএ। এ জন্য প্রায় ২০ ফুট লম্বা আর ফুট দেড়েক ব্যাসের পাইপ বসানো হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ, কাজ শেষ হওয়ার মাস দুয়েক পরেও রাস্তা মেরামতে উদ্যোগী হয়নি কেএমডিএ। ফলে পুরসভার ৯, ১০ এবং ২৪ থেকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে পথ চলতে চূড়ান্ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। আগরপাড়া স্টেশনের পাঁচ নম্বর রেলগেটের পশ্চিমে এস এম ব্যানার্জি রোড (৯ এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ড) এবং পূর্বের তারাপুকুর মেন রোড, দ্বারিক ব্যানার্জি রোডে (২৪ থেকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড) পাইপ বসানোর পরেও রাস্তা মেরামত হয়নি। ফলে এস এম ব্যানার্জি রোড থেকে শুরু করে তারাপুকুর রোড হয়ে উসমপুর বাজারের দ্বারিক ব্যানার্জি রোড পর্যন্ত প্রায় দু’কিলোমিটার পথ চলাচল করাই দুরূহ। কোথাও ঢিবি করে মাটি রাখা, কোথাও আবার গর্ত।
খোঁড়া অংশ জল-কাদা ভরা। সারা রাস্তা কাদা জমে পিছল হয়ে উঠেছে। এই পথে ছ’টি স্কুল রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা ছাড়াও উসমপুর বাজার, রেল স্টেশন, বিটি রোড যেতে অনেকে এ পথ ব্যবহার করেন। স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিত্‌ ঘোষ বলেন, “পাইপ বসানো পরে মাস দুয়েক হয়ে গেল। রাস্তা মেরামতি দূরের কথা, খোঁড়া অংশের মাটিও সমান করা হয়নি। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। রোজই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। বর্ষায় চলাচল করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।” ব্যারাকপুরের এসডিও তথা পানিহাটি পুরসভার প্রশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বললেন, “রাস্তা মেরামতির জন্য কেএমডিএ-কে বলেছি। খারাপ আবহাওয়ার জন্য এখনও মেরামতির কাজ হয়নি। দ্রুত মেরামত করে দেওয়ার জন্য আবার কেএমডিএ-কে বলব।” কেএমডিএ-র এক আধিকারিক বললেন, “রাস্তাগুলি মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করার চেষ্টা হচ্ছে।”

ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.