ক্লিক অর প্রেস
শুধুই অ্যানড্রয়েড
খাঁটি অ্যানড্রয়েড চাই? নিয়ে আসুন গুগলের ফোন Nexus 4।
নানা সংস্থাই স্মার্টফোনে গুগলের তৈরি এই অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে। কিন্তু এরা অ্যানড্রয়েডের সঙ্গে নিজেদের তৈরি নানা সফ্টঅয়্যার মিশিয়ে দেন। ফলে খাঁটি অ্যানড্রয়েডের কিছু সুবিধা মেলে না।
Nexus 4-এ আছে অ্যানড্রয়েড জেলি বিন ৪.২.২ ভার্সন। এর সঙ্গে কোনও মিশেল নেই। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে জেলি বিন ৪.৩.৩ ভার্সন। চাইলেই একে জেলি বিন ৪.৩.৩-তেও আপগ্রেড করতে পারেন। এর হার্ডঅয়্যার এলজি-র তৈরি। ১.৫ গিগাহাৎর্জের ‘quad-core Snapdragon S4 Pro’ প্রসেসর, ২ জিবি র্যাম, ৪.৭ ইঞ্চি স্ক্রিনের এই ফোনের রেজলিউশন ১২৮০ x ৭৬৮ বা প্রতি ইঞ্চিতে ৩২০ পিক্সেল। প্রতিটি রং আলাদা ভাবে বোঝা যায়। স্ক্রিনে এবং পিছনে ‘Corning Gorilla Glass ২’ ব্যবহারের ফলে ফোনটি দেখতে সুন্দর। আইফোন ৫ থেকে কিছুটা ভারী ও স্ক্রিন কিছুটা বড়। ফলে কিছু পড়তে, বিশেষ করে এইচডি ভিডিও দেখতে সুবিধা হয়।
এই ফোনের ডান দিকে পাওয়ার বাটনটি টিপলে Nexus 4-এর ঘুম ভাঙবে। বাঁদিকে শব্দ নিয়ন্ত্রণের বাটনের সঙ্গে মাইক্রোসিমের ট্রে রয়েছে। সিম ট্রে বার করার জন্য একটি ছোট্ট যন্ত্রও সঙ্গে থাকে। কিন্তু যন্ত্রটি এতই ছোট যে হারিয়ে যেতে পারে। তবে পিন দিয়েও সিম ট্রে বার করে আনা যায়। মাইক্রোসিম লাগিয়ে অন করার সঙ্গে সঙ্গেই ফোন কাজ করতে শুরু করবে।
গুগল, ডিফল্ট অ্যাপস এবং অন্যান্য সেটিং আপনাআপনি এই ফোনে ইনস্টল করে দেবে। কোনও সাইন-ইন করতে হবে না। এমনকী ইন্টারনেটে থ্রিজি-কানেকশন-এর জন্যও কোনও সেটিং ডাউনলোড করতে হবে না। বিনা তারে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের সঙ্গে সহজে সিঙ্ক হয়ে যায়। এমনকী বিনা তারে ফোনটি চার্জ দেওয়া যায়। তবে এর জন্য আলাদা করে কিট কিনতে হবে।
অন্য কোনও অ্যানড্রয়েড ফোনে বা ট্যাবে ফাইল পাঠাতে হলে এই ফোনের ‘NFC’ (near field communication) ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেখানেও ‘NFC’ থাকতে হবে। এই ফোনে পাবেন ‘Miracast wireless display’-র সুবিধা। এর সাহায্যে কম্পিউটার বা টেলিভিশনে, ফোনে রাখা ভিডিও দেখা যাবে। কোনও তারের সংযোগ লাগবে না। কম্পিউটার বা টেলিভিশন ‘Miracast’ সাপোর্ট না করলেও অসুবিধা নেই। ‘Miracast’-এর অ্যাডাপ্টার পাওয়া যায়।
Nexus 4-এ ১৬ জিবি জায়গা আছে। কিন্তু মাইক্রো এসডি কার্ডের স্লট নেই। চাইলেও মেমরি বাড়বে না। তবে Dropbox অ্যাপসটি অ্যানড্রয়েডের সঙ্গেই আসবে। ফলে আরও কিছু জায়গা পেয়ে যাবেন। এ বার বলি ক্যামেরার কথা। Nexus 4-এর সামনে ১.৩ মেগাপিক্সেলের আর পিছনে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। ‘লক্ড’ স্ক্রিন থেকেই ক্যামেরার অ্যাপসটি চালু করা যায়। ক্যামেরাটির ঠিকমতো ফোকাস হয়। শাটার স্পিডও ভাল।
কিন্তু গুগল-এর ক্যামেরা অ্যাপসটিতে আইএসও সেটিং, মিটারিং সেটিং, ম্যাক্রো মোড, বার্স্ট মোড, গ্রিড লাইনের সুবিধা নেই। তাই অনেক সময়ে ছবির মান ভাল হয় না, বিশেষ করে কনট্রাস্ট-এ সমস্যা হয়। কিন্তু স্বাভাবিক আলোয় মোটামুটি ভালই ছবি ওঠে। HDR মোডটি ব্যবহার করলে কম আলোয়ও ভাল ছবি ওঠে। এ ছাড়া পাবেন প্যানোরামা মোড ও ‘Photo Sphere’। ‘Photo Sphere’ ৩৬০ ডিগ্রি প্যানোরামা ছবি তোলার সুবিধা আছে। এ ক্ষেত্রে পর পর ছবি তুলতে হয়। তার পরে ‘Photo Sphere’-এ জুড়ে দিলে অসাধারণ সব ছবি তৈরি হয়।
ভিডিও প্লেয়ারটি মন্দ নয়। তবে এর থেকে ভাল থার্ড পার্টি ভিডিও প্লেয়ার পাওয়া যায়। মিউজিক প্লেয়ারটি ভালই। তবে এর অনলাইন মিউজিক স্ট্রিমিং-এর সুবিধা এখনই এ দেশে পাওয়া যাচ্ছে না। ইয়ারফোন ও লাউডস্পিকারে ভালই শব্দ শোনা যায়। এ ফোনে ‘নয়েজ ক্লিয়ারেন্স’-এর সুবিধা রয়েছে। ফলে আশপাশের শব্দ অপর প্রান্তে পৌঁছবে না।
Nexus 4-এ কিন্তু ব্যাটারি পাল্টানোর সুবিধা নেই। কারণ, এটি আইফোনের মতো ‘ইউনি-বডি’ ফোন। ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করলেও দিনে এক বার চার্জই যথেষ্ট। এ ছাড়াও রয়েছে accelerometer, কম্পাস, অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট, জাইরোস্কোপ, ব্যারমিটার; জিপিএস-এর মতো নানা সেন্সরও। এই ফোন মিলবে ২৫০০০-এর মধ্যে।

কম্পিউটার সংক্রান্ত আপনার প্রশ্ন পাঠান:
askdoss@abpmail.com-এ
সাবজেক্ট লাইনে লিখুন abp kolkata




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.