পঞ্চাশ পেরিয়ে গিয়েছে। এখান থেকে উঠে এসেছেন সন্তোষ ঠাকুর, সঞ্জয় ঠাকুর, সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, আদিত্য প্রসাদ, অমিত সাউ, লক্ষ্মীনারায়ণ পালসিংহের মতো একাধিক রাজ্য ও জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। এ বারে সেই শিবপুর রিজার্ভ পুলিশ লাইনের রিঙে বক্সিং ক্যাম্পের আয়োজন করল সাই। লক্ষ্য আন্তর্জাতিক মানের বক্সার তৈরি করা।
সপ্তাহে ছ’দিন করে দু’মাস ধরে এই ক্যাম্প চলে। এই ক্যাম্পে সাই-এর হরিকিষেন সিংহ, পি নরেন্দ্র, কুন্দন সিংহ এবং জেলার দিলীপ সাহা ও কৃষ্ণ রাউতপাঁচ জন প্রশিক্ষণ দেন। দিলীপ সাহা বলেন, “জেলায় সাই-এর উদ্যোগে এ ধরনের বক্সিং ক্যাম্প এই প্রথম। ছেলেরা অনেক কিছু শিখেছে। পরে আরও দীর্ঘমেয়াদি ক্যাম্পের আয়োজন হলে ভাল হয়।” সাই-এর কোচ হরিকিষেন সিংহের কথায়:, “দেশে বক্সিংয়ের প্রতি উত্সাহ বেড়েছে। এ ধরনের ক্যাম্প থেকে আগামী প্রজন্মের বক্সারদের বাছাই করে দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।” এই ক্যাম্পের বেশির ভাগ বক্সার রাজ্য ও জাতীয় পর্যায়ে খেলেছেন। এই বিজ্ঞানসম্মত অনুশীলনে তাঁদের দক্ষতা বাড়বে বলে সংগঠকদের আশা। |
এই ক্যাম্পে ছিলেন অম্বিকা হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল রজক এবং দশম শ্রেণির ছাত্র করণ রজক। তারা দুই ভাই। একাধিক বার এরা রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তারাও এই ক্যাম্পে এসে খুশি। রাহুলের কথায়: “অনেক কিছু শিখলাম। আগামী দিনে কাজে লাগবে। আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।” শিবপুর কাজিপাড়ার অমিত সাউ একাধিক বার জাতীয় ও রাজ্য খেতাব জিতেছেন। বাবা চা বিক্রি করেন। অভাবের সংসারের অনেক প্রতিকূলতা সামলে সাত বছর বক্সিং চর্চার সঙ্গে যুক্ত। এই প্রথম কোনও শিবিরে যোগ দিলেন। তিনি বললেন, “ফিটনেস বাড়াতে ওয়েট ট্রেনিং-এর গুরুত্ব এখানে এসে বুঝতে পারলাম।” হাওড়া সেন্ট জনস স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র রঞ্জিত রাউত একাধিক বার বক্সিংয়ে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তার কথায়: “অভ্যাসের পরে থিওরি ক্লাস, মেডিটেশন যোগ করে এর মধ্যেই ভাল ফল পেয়েছি।
হাওড়া জেলা বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কোচ কৃষ্ণ রাউত বলেন, “শিবিরের বেশির ভাগ ছেলেই আসে গরিব ঘর থেকে। উন্নত মানের সরঞ্জাম নেই। কয়েক জনের ভাল খাবারও জোটে না। অভ্যাসের সঙ্গে ভাল খাবার ও ক্রীড়া সরঞ্জাম পেলে এরাও ভাল ফল করতে পারবে।” |