নির্বিঘ্নেই শুক্রবার প্রথম দফায় হাওড়া জেলায় ১৫৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯৭টিতে বোর্ড গঠন হয়েছে। বেশির ভাগ বোর্ডই পেয়েছে তৃণমূল। এই সব জায়গায় তৃণমূলের উৎসাহ উদ্দীপনার চিত্রটি ছিল প্রায় একই রকম। বিভিন্ন বুথ থেকে দলের জয়ী প্রার্থীরা মিছিল করে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আসেন। মিছিলে ছিল ব্যান্ডপার্টি ও আবির। জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, আগামী সোমবার জেলার বাকি ৬০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করা হবে। যে সব বোর্ড শুক্রবার গঠিত হল তারা সোমবার থেকেই উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করে দেবে।
নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পরে বোর্ড গঠনের আগের মুহূর্ত পর্যম্ত ডোমজুড়ের দক্ষিণ ঝাপড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সিপিএম এবং তৃণমূল দু’টি দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেই কোনও উল্লাস দেখা যায়নি। কারণ এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল ত্রিশঙ্কু হয়ে গিয়েছিল। ১৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল এবং সিপিএম দু’টি দলই পায় যথাক্রমে ৮টি করে আসন। একটি আসনে জেতেন নির্দল প্রার্থী। তবে বোর্ড গঠনের সময়ে দেখা যায় সিপিএমের এক সদস্য অনুপস্থিত। অন্য দিকে নির্দল সদস্য জানিয়ে দেন তিনি তৃণমূলকেই সমর্থন করবেন। ফলে নির্বিঘ্নে প্রধান পদে নির্বাচিত হন তৃণমূলের সমীর বর্মন।
অন্যদিকে উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ২২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পায় ১০টি আসন। কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লক পায় যথাক্রমে ৪, ২, ৪ এবং ১টি করে আসন। একটি আসনে জেতেন নির্দল প্রার্থী। ত্রিশঙ্কু এই গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটাভুটিতে দেখা যায় প্রধান, উপপ্রধান দু’টি পদেই হেরেছেন তৃণমূল প্রার্থী। প্রধান পদে জেতেন কংগ্রেস প্রার্থী, উপপ্রধান পদে জেতেন বিজেপি প্রার্থী। এলাকার রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মহাজোট করেই বোর্ড গঠন করেছে বিরোধীরা।
সাঁকরাইলের সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৯টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৬টি করে আসন। বামফ্রন্ট পেয়েছে ৫টি এবং বিজেপি পেয়েছে ২টি আসন। এই গ্রাম পঞ্চায়েতটিও ত্রিশঙ্কু হয়ে যায়। প্রধান ও উপপ্রধান দু’টি পদেই কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেয়। ভোটাভুটির ফলে দেখা যায় দু’টি পদেই জিতেছে কংগ্রেস। ভোটাভুটির ফল দেখে এলাকার রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বোর্ড গঠন করতে তৃণমূল জোট করেছিল বিজেপির সঙ্গে। অন্য দিকে, কংগ্রেস হাত মিলিয়েছে বামফ্রন্টের সঙ্গে। রাজনৈতিক দলগুলি অবশ্য কারও সাথে হাত মেলানোর কথা অস্বীকার করেছে।
|
ধস কবলিত এলাকা দেখলেন বিশেষজ্ঞেরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দননগর |
পেরিয়ে গিয়েছে এক মাস। কিন্তু চন্দননগরে গঙ্গা তীরবর্তী আবাসন ঘেঁষে ধস নামা এখনও বন্ধ হয়নি। কী কারণে ধস, তা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার খড়্গপুর আইআইটি-র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান শুভাশিস দে’র নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল চন্দননগরের হাটখোলায় ধস এলাকা পরিদর্শনে আসেন। শুভাশিসবাবু বলেন, “ধসের কারণ এখনই বলা সম্ভব নয়। আমরা এলাকার ছবি, মাটির নমুনা নিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ কমিটি গঠন করে তা পরীক্ষা করা হবে। তার পরে আমরা স্থায়ী ভাবে কী করে ধস মোকাবিলা করা যায় সে সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রশাসনের কাছে পাঠাব।” চন্দননগরের গঙ্গা তীরবর্তী ফরাসি ইনস্টিটিউটের পাশের রাস্তায় ধস নামে গত ১ জুলাই। পরের দিনই ২০০ গজের মধ্যে ধস নামে তিনটি আবাসনের গা ঘেঁষে। বালির বস্তা ফেলে ধস মেরামতির কাজ শুরু হয়। কিন্তু ধস পুরোপুরি রোধ করা যায়নি। বালির বস্তা ক্রমশ নীচ থেকে সরে যাচ্ছে বলে পুরসভাই মেনে নিয়েছে। চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, “ খড়্গপুর আইআইটি-র ওই দলটি কোনও প্রস্তাব দিলে পুরসভার পক্ষ থেকে তা দেখা হবে।” একই বক্তব্য হুগলি অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) আবিদ হোসেনেরও।
পুরনো খবর: চন্দননগরে গঙ্গার পাড়ে নিয়ম মেনে
হয়নি নির্মাণ, বলছে পুরসভা |