|
|
|
|
স্বাধীনতা দিবসে নাশকতা |
গ্রেনেড হামলা, অভিযানে নিহত এনডিএফবি জঙ্গি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধুবুরি |
স্বাধীনতা দিবসের দিন সন্দেহভাজন জঙ্গিদের ছোড়া পরপর দুটি শক্তিশালী গ্রেনেড বিস্ফোরণ হল বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল এরিয়া ডিস্ট্রিক (বিটিএডি)। কোকরাঝাড় শহরে উদ্ধার হয়েছে আরও একটি তাজা গ্রেনেড। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার পিছনে আলোচনা বিরোধী এনডিএফবি-র সংবিজিত গোষ্ঠী ওই ঘটনার পিছনে রয়েছে বলে কোকরাঝাড় জেলা পুলিশের সন্দেহ। সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযানে এত জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তিনি বিস্ফোরণের ঘটনার পিছনে ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। কোকরাঝাড়ের পুলিশ সুপার সুনিল কুমার বলেন, “আলোচনা বিরোধী এনডিএফবি-র সংবিজিত গোষ্ঠী ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর আমরা জানতে পেরেছি। পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। অভিযানে এক জঙ্গির মৃত্যুও হয়েছে।”
শুক্রবার সকালে কোকরাঝাড় জেলার সেরফাংগুড়ি থানার ঝাড়বাড়ির-বাংলাঝড়া জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে সেনা ও পুলিশ অভিযান শুরু করে। সেখানে অভিযানে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত এনডিএফবি জঙ্গির নাম বিলাউপানি বসুমাতারি (২৫)। তার বাড়ি কোকরাঝাড় জেলার মাইনাওগুরি গ্রামে। মৃতের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ৭.৬ এমএম পিস্তল, একটি চাইনিজ গ্রেনেড, ১০ রাউন্ড তাজা গুলি ও আপত্তিকর নথিপত্র।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে কোকরাঝাড়ের সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে চলছিল স্বাধীনতা দিবসের কার্যসূচি। ভাষণ দিচ্ছিলেন বিটিসি প্রধান হাগ্রামা মহিলারি। সাড়ে ৯টা নাগাদ কোকরাঝাড় শহরের টেঙাপারার একটি হোটলের সামনে প্রথমে একটি গ্রেনেড ছোঁড়ে জঙ্গিরা। প্রচন্ড শব্দে সেটি বিস্ফোরণ ঘটে। যদিও ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এর মিনিট পাঁচেক বাদে প্রথম ঘটনাস্থল থেকে খানিকটা দুরে থাকা আরেকটি গ্রেনেড ছোঁড়ে জঙ্গিরা। অবশ্য সেটি ফাটেনি।
এর পর সকাল পৌণে ১০টা নাগাদ দ্বিতীয় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে শহরের জিডি রোডের মিনি বাসস্ট্যান্ডের কাছে বন বিভাগের সরকারি নিবাস কলনির সামনে আরও একটি গ্রেনেড ছোঁড়ে জঙ্গিরা। ঘটনায় এক বনকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ জানায়, বিপুল ব্রহ্ম নামের আহত ওই বনকর্মীকে কোকরাঝাড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহত বিপুলবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, সকাল ১০টা নাগাদ একটি নীল রঙের মারুতি ভ্যান থেকে কয়েকজন কিছু ছুঁড়ে দ্রুতবেগে পালিয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রচন্ড শব্দে গ্রেনেডটি বিষ্ফোরন ঘটে।
ঘটনার পর পুলিশ, সিআরপিএফ এবং বোমা বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাজা গ্রেনেডটি নিস্ক্রিয় করার পাশাপাশি পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। ঘটনার সময় শহরের ওই এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের টহলদারি ছিল না বলে বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। তাঁরা জানান, স্বাধীনতা দিবসের জন্য শহরের দোকান বাজার বন্ধ থাকায় এলাকায় বেশি লোকজন ছিল না। তাই বড় বিপত্তি ঘটেনি। |
|
|
|
|
|