অশোক ঘোষের খুনের পরে ঘরছাড়া হয়েছেন দলের প্রায় ২০ জন নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য। এই পরিস্থিতিতে খয়রাশোল ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন পিছোতে আবেদন করেছিল রাজ্যের শাসক দল। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় গত ১৬-১৯ অগস্ট পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের দিন ধার্য হলেও খয়রাশোলে তা আগামী ২৪ তারিখে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা। তাঁর দাবি, “রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের নির্দেশেই খয়রাশোলের পঞ্চায়েতগুলির বোর্ড গঠনের দিন পিছিয়ে দেওয়া হল।” যদিও প্রশাসন ও তৃণমূল সূত্রেই জানা যাচ্ছে, অশোক ঘোষ হত্যাকাণ্ডের পরে এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত। যার জেরেই খয়রাশোলে পঞ্চায়েতগুলির বোর্ড পিছিয়ে গেল।
তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা এ নিয়ে একটি আবেদন করেছিলাম। তা না হলে খয়রাশোলের বেশ কিছু পঞ্চায়েত গঠন সম্ভব হত না।” তাঁর আরও দাবি, বেশ কিছু পঞ্চায়েত সমিতির বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থীও এলাকাছাড়া। সেখানেও নির্দিষ্ট সময়ে পঞ্চায়েত সমিতি গঠনের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না।
তৃণমূল সূত্রের দাবি, ব্লকের ১১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের ৮৪টিতে তৃণমূল বিজয়ী হলেও বোর্ড গঠন নিয়ে খয়রাশোলে তৃণমূলের দুই বিবাদমান নেতা অশোক ঘোষ এবং অশোক মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হচ্ছিল। তারপরেই অশোক ঘোষ খুন হলেন। তাঁর খুনে অশোক মুখোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর থেকেই মহিলা-পুরুষ মিলিয়ে তৃণমূলের অন্তত ২০ জন গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রার্থী (প্রত্যেকেই ব্লক সভাপতি অশোক মুখোপাধ্যায়ের অনুগামী বলে পরিচিত) এলাকা ছাড়া। ফলে দলের পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কাছে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন পিছিয়ে দেওয়ার অবেদন করা হয়। |