আসন্ন পুরসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমার কাজ শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। দুবরাজপুরে মনোনয়ন জমার সেই কাজ এ দিন কোনও রাজনৈতিক দল শুরু না করলেও পুরভোটের প্রচারের সূচনা করল কংগ্রেস। এবং যথেষ্ট শক্তি দিয়েই।
এ দিন বিকেলে দুবরাজপুরের পথিকৃৎ ময়দানের ওই প্রচার সভায় হাজির ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, কংগ্রেস সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মাল, জেলা সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি অরুণ চক্রবর্তী, স্থানীয় নেতা তথা পুরভোটের আহ্বায়ক শেখ নাজিরউদ্দিন প্রমুখ। দিন কয়েক আগে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিদায়ী পুরপ্রধান, কংগ্রেসের পীযূষ পাণ্ডে-সহ দলত্যাগী কংগ্রেস কাউন্সিলরদের নিয়েই এ দিন কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্যের মূল সুর বাঁধা ছিল। |
এই দলত্যাগকে প্রদীপ ভট্টাচার্য সরাসরি ‘অনৈতিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের দুর্গ রক্ষা করবেন এলাকার মানুষই।” সব চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, “পুরসভার জন্য এমন একটা প্রকল্পের কথা দলত্যাগী পীযূষবাবু বলুন, যা রাজ্য সরকার দিয়ে থাকে। এত দিন যে উন্নতি দুবরাজপুরের হয়েছে, সেটা কেন্দ্রীয় অর্থ সাহায্যে। ওঁর আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে কিছুদিন আগেই প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। সেই ভয়েই উনি দল বদলেছেন।” ঘটনা হল, দিন কয়েক আগে দুবরাজপুরে তৃণমূল যে সভা করেছিল, সেখানে কংগ্রস এবং সিপিএমের প্রার্থীদের পুরভোটে মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিয়েছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ঠিক যেমন পঞ্চায়েত ভোটের আগে রামপুরহাটে বলেছিলেন। অভিজিৎবাবু এ দিন বলেন, “বোলপুরের জনৈক তৃণমূল নেতা যে-ভাবে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমায় বিরোধীদের বাধা দিয়েছিলেন, পুরভোটেও একই কাজ করবেন বলে তিনি ভেবে থাকলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। আমি দিন কয়েক পরেই দুবরাজপুরে এসে ঘাঁটি গাড়ব। বাড়িতে বাড়িতে প্রচারে যাব। দেখব কী করে ওরা বাধা দেয়!”
সাঁইথিয়া পুরসভার যে-সব কংগ্রেস কাউন্সিলর দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে খবর ছড়িয়েছিল, তাঁদের মধ্যে আট কাউন্সিলরকে মঞ্চে তুলে সকলের সামনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “ভ্রান্ত প্রচার করেছিল তৃণমূল। ওঁদের কেউ দলবদল করেননি।” |