স্কুল বন্ধ করে রেল কর্মচারীদের বামপন্থী সংগঠন ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের বার্ষিক সম্মেলন হল কাটোয়া-বর্ধমান রোডের পাশে রেলওয়ে ইনস্টিটিউশনে। ঘটনাটি শুক্রবার সকালের। স্কুলে ঢুকতে না পেরে স্কুলের পাশের রেল কলোনীতে বসে রইলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ তিন শিক্ষক।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই স্কুলে মোট ৭৮ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেন। এ দিন সকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমীর কুমার ভট্টাচার্য, সহকারী শিক্ষক জয়দেব চট্টোপাধ্যায় ও মিতা বিশ্বাস স্কুলে এসে দেখেন স্কুলের সামনে রান্না চলছে। ঘরের ভিতর রয়েছেন প্রচুর লোকজন। কোনও রকমে স্কুল চত্বরের এক কোণে কোনও রকমে শেষ হয় মিড ডে মিলের রান্না। প্রধান শিক্ষক সমীর কুমার ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “আজ আমাদের স্কুলের ভিতর ঢুকতেই দেওয়া হয়নি।” তাঁর দাবি, “রেল কর্মচারী সংগঠনের কর্তারা সম্মেলনের বিষয়ে মৌখিকভাবে জানালেও লিখিত কিছু জানায়নি।” স্কুলের পড়ুয়া পূর্ণিমা সাউ, সোহাগি খাতুন, মঞ্জু মারীচেরা জানায়, “প্রতিদিন এখানেই স্কুল হয়। কিন্তু এ দিন স্কুলের ভিতর লোকজন থাকায় স্কুল হয়নি।” |
অভিযোগ অস্বীকার করে ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের কাটোয়া শাখার সম্পাদক পার্থপ্রতীম রায়চৌধুরীর পাল্টা দাবি, “ওই স্কুল রেলের জায়গা দখল করে রয়েছে। ওদের রেলের জায়গাতে স্কুল করার কোনও অনুমতি নেই।” যদিও স্থানীয় কাউন্সিলার তথা কাটোয়া পুরসভার উপ পুরপ্রধান অমর রাম বলেন, “ওই জায়গাতে তিন দশক ধরে স্কুল চলছে। এ দিন স্কুল দখল করে সভা করেছে সিপিএম প্রভাবিত ওই সংগঠন।”
কাটোয়া পশ্চিম চক্রের স্কুল পরিদর্শক অন্তরা ঘোষ বিশ্বাস বলেন, “প্রধান শিক্ষক কেন আগে থেকে কিছু জানাননি সেটা জিজ্ঞেস করা হবে।” একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষককে ‘শো-কজ’ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। |