তৃণমূলের প্রধান, উপপ্রধান নির্বাচনে থাকলেন না সিপিএমের নির্বাচিত সদস্যেরা। আবার সিপিএমের প্রধান-উপপ্রধান নির্বাচনেও গরহাজির তৃণমূলের সদস্যেরা। ফলে শুক্রবার কালনার বহু পঞ্চায়েতেই বাকি রয়ে গেল শপথ গ্রহণ।
কালনা মহকুমার পাঁচটি ব্লকে ৪৭টি পঞ্চায়েত রয়েছে। এ দিন তিনটি ব্লকের ১৪টি পঞ্চায়েতে প্রধান-উপপ্রধান নির্বাচন এবং জয়ী সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করার প্রশাসনিক অনুমতি মেলে। এর মধ্যে রয়েছে কালনা ১ ব্লকের পঞ্চায়েত বেগপুর, কৃষ্ণদেবপুর, হাটকালনা এবং সুলতানপুর। কালনা ২ ব্লকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয় বৈদ্যপুর, আনুখাল, পিণ্ডিরা এবং কল্যাণপুরে। শপথ নেওয়া হয় পূর্বস্থলী ২ ব্লকের ঝাউডাঙা, মুকসিমপাড়া, কালেখাঁতলা, পিলা এবং পাটুলিতেও। এর মধ্যে ১১টি পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রধান-উপপ্রধান নির্বাচন করে। কালনা ১ ব্লকের কৃষ্ণদেবপুর এবং পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পাটুলি এবং কালেখাঁতলায় প্রধান-উপপ্রধান নির্বাচন করে সিপিএম। |
যে এগারোটি জায়গায় তৃণমূল প্রধান-উপপ্রধান নির্বাচন করে, তার কোনও জায়গাতেই ছিলেন না সিপিএম থেকে নির্বাচিত সদস্যেরা। সিপিএমের কালনা জোনাল কমিটির সম্পাদক করুণা ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “নির্বাচনের শুরু থেকে তৃণমূল সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। কালনা ১ ব্লকে আমাদের একটি জেতা পঞ্চায়েত ওরা পুলিশ এবং সাধারণ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে জোর করে দখল করে। এই পরিস্থিতিতে নিজেরা যেখানে প্রধান নির্বাচনের ক্ষমতায় রয়েছি, সেখানেই দলের সমস্ত নির্বাচিত সদস্যদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ যারা শপথ নিতে পারলেন না তাঁরা কোথায়, কী ভাবে শপথ নেবেন তা পরবর্তী সময়ে ঠিক করা হবে।” কালনা ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি উমাশঙ্কর সিংহ রায়ের বক্তব্য, “ভয়-ভীতির পরিবেশ যদি থাকত তাহলে ওরা কৃষ্ণদেবপুর পঞ্চায়েতে কী করে প্রধান-উপপ্রধান নির্বাচন করল। সন্ত্রাস নয়, আসলে সিপিএম ভিতর থেকেই দুর্বল হয়ে গিয়েছে।” সিপিএমের কৃষ্ণদেবপুর পঞ্চায়েতে প্রধান-উপপ্রধান নির্বাচন এবং শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তৃণমূল সদস্যদের না থাকার কারণ হিসেবে উমাশঙ্করবাবু বলেন, “ওরা খুব অল্প ভোটে হারে। তাই মন খারাপ ছিল। যে কোনও দিন ওরা পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে শপথ নেবে।” মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি পঞ্চায়েতগুলিতে শনিবার এবং সোমবার প্রধান-উপপ্রধান নির্বাচন সভা অনুষ্ঠিত হবে। |