পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে উত্তেজনা ছড়াল জামুড়িয়ার চিচুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে।
তৃণমূল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিচুড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকায় জামুড়িয়া যুব তৃণমূলের বর্তমান সভাপতি গোপীনাথ পাত্র ও জামুরিয়া যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি রথীন কুণ্ডু গোষ্ঠীর সঙ্গে জামুড়িয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি তাপস চক্রবর্তী গোষ্ঠীর লড়াই আগেই মাথাচাড়া দিয়েছিল। পঞ্চায়েত নিবার্চনে রথীনবাবুর অনুগামীরাই বেশিরভাগ জায়গায় জয়ী হন।
তিনটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতেন রথীনবাবুর অনুগামী তৃণমূল প্রার্থীরা। যার মধ্যে রথীনবাবুর স্ত্রী চামেলিদেবীও রয়েছেন। বাকি আসনগুলির মধ্যে তিনটি আসনে জেতেন রথীন অনুগামী নির্দল প্রার্থীরা। ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব দুই গোষ্ঠীর জয়ী সদস্যদের মিলিয়ে পঞ্চায়েত তৈরির জন্য চামেলিদেবীকে প্রধান ও তাপসবাবুর অনুগামী পল্টু মন্ডলকে উপপ্রধান পদে মনোনীত করেন। কিন্তু তাতেও আটকানো গেল না শাসক দলের গোষ্ঠী লড়াই।
এ দিন পঞ্চায়েতে প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন ছিল। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চামেলিদেবী প্রধান নির্বাচিত হলেও উপপ্রধান পদে পল্টু মণ্ডলের বদলে রথীনবাবুুর অনুগামী জিতেন্দ্র গড়াই উপপ্রধান নির্বাচিত হন। তাঁকে সমর্থন করেন ছ’জন পঞ্চায়েত সদস্য। এরপরেই শুরু হয় গণ্ডগোল। বাইরে বেরানোর পরেই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তাপস চক্রবর্তীর অনুগামীরা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন।
ব্লক তৃণমূল সভাপতি তাপস চক্রবর্তী বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রার্থী বাছাইয়ের সময় রথীনবাবুদের যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। রথীনবাবুর স্ত্রীকে গ্রাম প্রধান করা হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাঁরা জিতেছেন তাঁরাও রথীনের মনোনীত প্রার্থী। তারপরেও উপপ্রধান পদে ওঁরা দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন করল না। বিষয়টি আমরা রাজ্য নেতৃত্বকে জানাবো।” রথীন চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, “উপপ্রধান পদের জন্য যাঁকে বাছা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে সিপিএমের যোগাযোগ রয়েছে। দলের বেশিরভাগ কর্মীই এই সিদ্ধান্ত মানেনি।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। জামুড়িয়ার বিডিও জয়ন্ত দাস বলেন, “এ দিন পাঁচটি পঞ্চায়েতের গ্রাম প্রধান, উপপ্রধান নির্বাচনের কথা ছিল। চিচুড়িয়ায় এক নির্দল সদস্য উপপ্রধান হয়েছেন।” প্রশাসন সূত্রে খবর, পরাশিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে এ দিন বোর্ড গঠন করা যায়নি। |