দূরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার। আসতে সময় লাগে আধ ঘণ্টারও কম। কিন্তু এটুকু যাত্রাপথেও কেন ট্রেনে রোজ বসতে পারা যাবে না, তাই নিয়ে বুধবার সকালে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নরেন্দ্রপুর স্টেশনে বিক্ষোভ-অবরোধ করলেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ। এখানেই শেষ নয়। সোনারপুর লোকালের চালকের কেবিনে ভাঙচুর চালিয়ে চালককেও মারধর করেন বিক্ষোভকারীরা।
আর এই অহেতুক বিক্ষোভের মাসুল গুনলেন অসংখ্য যাত্রী। সকাল থেকে প্রায় সওয়া ঘণ্টা বিক্ষোভ চলায় বাতিল করতে হল পাঁচ জোড়া ট্রেন। ১৫টি লোকাল গড়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিনিট করে দেরিতে চলেছে। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে প্রায় বেলা গড়িয়ে দুপুর হয়েছে। চূড়ান্ত নাকাল হয়েছেন যাত্রীরা। অধিকাংশ যাত্রী সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, রোজ সকালে যাত্রীদের অনুরোধেই একটি ট্রেন ক্যানিং থেকে সোনারপুর পর্যন্ত চালানো হয়। কিছুক্ষণ পরে সোনারপুর থেকে আর একটি লোকাল চালানো হয় শিয়ালদহ পর্যন্ত। |
কিন্তু যে রেকটি ক্যানিং থেকে সোনারপুর আসে, সেটিকেই কার্যত রোজই সোনারপুর লোকাল করে শিয়ালদহ পর্যন্ত চালান রেল কর্তৃপক্ষ। বিপত্তি সেখানেই। সোনারপুর লোকালের জন্য নতুন করে রেক যে পাল্টানো হয় না, সে কথা জানেন ক্যানিংয়ের যাত্রীরা। তাই শিয়ালদহে আসা যাত্রীরা সোনারপুরে ট্রেন থেকে নামেন না। ফলে সোনারপুর এবং তার পরের স্টেশনের যাত্রীরা আর ট্রেনে উঠে বসার জায়গা পান না। বুধবারের বিক্ষোভ এই নিয়েই। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “সোনারপুর লোকালের চালককে মারধর করা হয়। পাথর মেরে তাঁর কেবিনের সব কাচও ভেঙে দেন বিক্ষোভকারীরা।”
বসার ব্যবস্থা করে দিতে হবে এই দাবির পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা ১২ কামরার ট্রেন চালানোরও দাবি জানান। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ১২ কামরার ট্রেন পুরোপুরি চালু হলে এই সমস্যা হত না। ১২ কামরার ট্রেন নিয়ে রেলের বক্তব্য, কয়েকটি স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম বাড়ানোর কাজ এখনও শেষ হয়নি। তাই ১২ কামরার ট্রেন পুরোপুরি চালানো যাচ্ছে না দক্ষিণ শাখায়। রেল সূত্রে খবর, এমনিতে এখন শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় সারা দিনে ২০ জোড়া ১২ কামরার ট্রেন চলে। |