পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
চোর সন্দেহে এক যুবককে ধরে তিনি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তার পরে চুরির বিষয়টি জানাতে গিয়ে পুলিশের শাসানির মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ তারাপীঠ সংলগ্ন কবিচন্দ্রপুর মৌজার একটি লজের ম্যানেজারের। ওই বেসরকারি লজটির ম্যানেজার সদানন্দ দাসের অভিযোগ, “পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে অভিযোগ জমা নিলেও কোনও স্ট্যাম্প মেরে দেয়নি। উল্টে পুলিশ কিছুই হয়নি বলে শাসাতে থাকে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করার হুমকি দেয় পুলিশ।”
কবিচন্দ্রপুর মৌজার ওই লজটি রামপুরহাট থানা এলাকার মধ্যে পড়ে। ওই এলাকার লজ মালিকদের একাংশের অভিযোগ, দিন পনেরো যাবত এলাকার কয়েকটি লজে চুরির ঘটনা ঘটেছে। তিন দিন আগে একটি লজে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম-সহ বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী চুরি যায়। এতে এলাকার ব্যবসায়ীরা সতর্ক ছিলেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি লজে চার জনের একটি দুষ্কৃতী দল চুরি করতে ঢুকলে লজের কর্মীরা তাড়া করে একজনকে ধরে ফেলতে সক্ষম হয়। সকালে তারাপীঠ পুলিশের হেফাজতে ওই যুবককে দিয়ে দেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। বাসিন্দাদের দাবি, ওই যুবক চুরি করতে আসার কথা স্বীকার করেছে। তারা সংখ্যায় চার জন ছিল। এই প্রথম সে ধরা পড়েছে। ময়ূরেশ্বর থানার হাজিপুরের বাসিন্দা আসারুল শেখ নামে ওই যুবক তার সঙ্গী তিন জনের নামও সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেছে বলে দাবি। লজ ব্যবসায়ীদের একাংশের প্রশ্ন, যেখানে অপরাধী তার অপরাধ জনসমক্ষে স্বীকার করছে, সেখানে পুলিশ অপরাধীকে আড়াল করছে কেন বোঝা যাচ্ছে না? রামপুরহাট থানার আইসি সুবীর বাগ বলেন, “দিন পনেরো আগের যে চুরির কথা বলা হচ্ছে, সেই চুরির ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ নেই। এ দিন আগে পুলিশকে না জানিয়ে দীর্ঘক্ষণ এক জনকে আটক রাখা হয়েছিল। এক্ষেত্রে আইন নিজের হাতে কেউ তুলে নিতে পারে না। সে কথা অভিযোগকারীদের বোঝানো হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.