জেলবন্দি কোলের শিশু পুত্রকে ফিরে পাচ্ছেন সীমান্ত পারের মা রুমা বেগম। মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসকের নির্দেশে মায়ের কোল পেল পাঁচ বছরের শিশু ফারহাদ। ৬ মাস আগে অনুপ্রবেশে বাংলাদেশি বাবা তমিজুদ্দিন মিঁয়ার সঙ্গে বালুরঘাট জেলে শিশুটি সাজা কাটছিল। মা রুমা বেগম কোলের ছেলেকে ফিরে পেতে ও পার বাংলা থেকে এসে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জেল থেকে ৫ বছরের ওই শিশুকে তার মার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসককে খতিয়ে দেখে বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক তাপস চৌধুরী বলেন, “আদালতের নির্দেশ মেনে সব দিক খতিয়ে দেখে শিশুটিকে সংশোধনাগার থেকে তার মার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” |
এ দিন দুপুরে সাজাপ্রাপ্ত তুমিজুদ্দিন ও তার শিশুপুত্র ফারহাদকে বালুরঘাট জেল থেকে জেলাশাসকের দফতরে আনা হয়। তার মা রুমা বেগমও সেখানে ছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে নথিপত্র দেখার পর জেলাশাসক শিশুটিকে মার কাছে ফেরানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। আজ, বুধবার সকালে বালুরঘাটের জেল থেকে শিশুটিকে মায়ের কাছে তুলে দেওয়া হবে।
প্রায় ৬ মাস ধরে জেলা আদালত থেকে উচ্চআদালতে দ্বারস্থ হওয়ার পর সন্তান ফিরে পাওয়ার প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি রুমা বেগম। তিনি বলেন, “আদালত ও প্রশাসনের বিচারে আমি খুশি। তাঁর আত্মীয় আইনজীবী মোক্তার আহমেদ জানান, বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁ থানার বালিয়াডাঙা এলাকার বাসিন্দা তমিজুদ্দিন মিঁয়া, পাঁচ বছরের শিশুপুত্র ফারহাদকে নিয়ে গোয়ালপোখরের বাটনবাড়ি এলাকায় এক আত্মীয়য়ের বিয়েতে যোগ দিতে হিলি সীমান্ত পার হয়ে এ পারে আসেন। পরে তিনি এবং সঙ্গী ১৪ জন ধরা পড়েন।
জেল সূত্রের খবর, এ বছরের ২৬ ফেব্রুযারি পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশের নাগরিক ওই ১৬ জনকে হিলিতে গ্রেফতার করে। পরে বালুরঘাট আদালতের বিচারে তাদের ২ বছর কারাবাস হয়। প্রায় তিনমাস পরে তমিজুদ্দিনের স্ত্রী রুমা বেগম বৈধ পাসপোর্ট করে এপারে এসে বালুরঘাট আদালতের দ্বারস্থ হন। ছেলেকে ফিরে পেতে আবেদন করেন। আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। এর পর মাস দুয়েক আগে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। |