মঙ্গলবার সকালে বানজেটিয়া থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে ইলোরা চট্টোপাধ্যায়কে ভর্তির জন্য মাতৃসদন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকলে তো! বহরমপুর মাতৃসদন হাসপাতালের ঢোকার মুখে রাস্তার দু’দিকে অস্থায়ী দোকানঘর গজিয়ে ওঠায় অ্যাম্বুল্যান্স যাতায়াতের পথই হারিয়ে গিয়েছে।
এ দিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নীত হওয়ার পর থেকেই মাতৃসদন হাসপাতালকে ঘিরেও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। তাই ২০১২ সালের জুলাই মাসে যেখানে রোগী ভর্তির সংখ্যা ছিল ২২৮৯ জন, সেখানে এ বছরের জুলাইয়ে রোগী ভর্তি হন ৩০৩৮ জন। ১৭০ জন শয্যা সংখ্যার হাসপাতালে মঙ্গলবার ৩৪৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। ফলে রোগী ও রোগীর বাড়ির আত্মীয়দের ভিড়ে এখন হাসপাতাল চত্বরে স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করাও যায় না। এই অবস্থায় হাসপাতালের জায়গা দখল করে বেআইনি দোকান ঘর গড়ে ওঠা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। |
হাসপাতালে ঢোকার মুখে দু’পাশে দোকানের সারি।—নিজস্ব চিত্র। |
হাসপাতালের জায়গা জবরদখল করে দোকান ঘর গড়ে উঠলেও তা উচ্ছেদ করা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের অসহয়তা প্রকাশ করেছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করেন, “প্রতি দিন মাতৃসদনে যেখানে রোগী ভর্তির চাপ বাড়ছে, সেখানে ওই অস্থায়ী দোকানঘরগুলি অ্যাম্বুল্যান্স যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছে।” সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “তবে গোটা বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করতে চাই। ওই দোকান মালিকদের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। হাসপাতাল চত্বর থেকে তাদের উঠতেই হবে।”
সব মিলিয়ে হাসপাতালের গেটের ঢোকার মুখে ২০-২২ টি দোকান ঘর রয়েছে। তার মধ্যে হাসপাতালের মূল গেটের ঠিক উল্টো দিকেই গড়ে উঠেছে চায়ের দোকান। হাসপাতালের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা বিভিন্ন দোকানে সদ্যোজাতর বিভিন্ন পোশাক, তোয়ালে, পানীয় জলের বোতল বিকোচ্ছে। এরয়েছে ফলের দোকানও। এর আগে বেআইনি ওই দোকান ঘর উচ্ছেদের করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে দফায় দফায় চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। দোকান ঘরের পাশাপাশি হাসপাতাল চত্বরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ‘ট্যাক্সি ইউনিয়ন’ খুলে বসেছে। রোগীর বাড়ির লোকজনের কথায়, হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে। হাসপাতালের ঢোকার সামনের রাস্তা দখল করে বেআইনি বিভিন্ন দোকান-ঘর গড়ে ওঠায় রোগী নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রতি দিন বাধার মুখে পড়তে হয় বলেও অভিযোগ। অনেক সময়ে ‘কল বুক’ পেয়ে জরুরি ভিত্তিতে রোগী দেখতে আসার ক্ষেত্রেও হাসপাতালে ঢুকতে বাধার মুখে পড়তে হয় চিকিত্সকদের। চিকিত্সকদের কথায়, “হাসপাতাল চত্বরে বেআইনি গাড়ি পার্কিং ও বেআইনি দোকান-ঘর সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের উদ্যোগী ভূমিকা থাকা দরকার।” |
জল নেই, ক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
পাইপ ফেটে যাওয়ায় চার দিন জল সরবরাহ বন্ধ ‘পেয়িং বেড’-এর রোগীদের। ফলে, টাকা দিয়ে বেড নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালের ‘পেয়িং বেড’-এর রোগীরা। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কাজ হয়নি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা) সুরেশ দাস সমস্যার কথা মেনে বলেন, “চার দিন নয়, সোমবার পাইপ ফেটে যাওয়ায় ওই হাসপাতালে পেয়িং বেডে জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালেই মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে এ দিনই চালু হয়ে যাবে।” |