পাহাড়ের পর ডুয়ার্সেও মোর্চা নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা শুরু করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ভারত-ভুটানের সীমান্ত শহর জয়গাঁয় বিনা অনুমতিতে মোমবাতি মিছিল করার অভিযোগে প্রায় ৩০০ মোর্চা কর্মী, সমর্থককে পুলিশ গ্রেফতার করে। রাতেই অবশ্য তাঁদের ব্যক্তিগত জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। ঘটনার পর মোর্চা সমর্থকেরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরে অবস্থান শুরু করেন। এর আগে সোমবার রাতে কালচিনি ব্লক থেকে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যকে গ্রেফতার করে কালচিনি থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃত নেতার নাম অশোক লামা। তাঁকে কয়েকটি পুরানো মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “অশোক লামাকে বেশ কয়েকটি পুরোনো মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া যাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে তাঁদের খোঁজ চলছে। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মিছিলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কেউ তা ভাঙলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
পুলিশি হেফাজতে অশোক লামা।— নিজস্ব চিত্র। |
আলিপুরদুয়ার আদালতের সরকারি আইনজীবী মহম্মদ রফি জানান, অশোক লামা’র বিরুদ্ধে পথ অবরোধ, সরকারি কাজে বাধা-সহ ৫টি মামলার মধ্যে চারটিতে তিনি জামিন পেয়েছে। শিপচু কাণ্ডের নাগারাটার থানার মামলায় তাঁর জামিন নামঞ্জুর হয়েছে। তাঁকে সাতদিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ের আন্দোলনের আঁচ যাতে ডুয়ার্সে না ছড়ায় সেইজন্য বাড়তি পুলিশ বাহিনী বিভিন্ন থানা এলাকায় মোতায়ন করা হয়েছে। সোমবার বিকালের পর থেকেই ডুয়ার্সের, জয়গাঁর গোপীমোহন মাঠ, মঙ্গলাবাড়ি, দলসিংপাড়া, কালচিনি চৌপতি, রাঙামাটি এলাকা-সহ বিভিন্ন জায়গায় পৃথক গোর্খাল্যান্ডের সমর্থনে পোস্টার সেঁটেছেন মোর্চা নেতারা। বিভিন্ন থানায় এলাকায় নজরদারি শুরু হয়। তার পরেই মোর্চা নেতাদের পুরোনো মামলায় গ্রেতারের প্রস্তুতি শুরু হয়। রাতেই গ্রেফতার হন অশোক লামা। মোর্চা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেশ শর্মা বলেন, “আমাদের আন্দোলনকে পুলিশ দিয়ে রাজ্য সরকার দমন করতে পারবে না। আন্দোলন চলবেই।” এ দিন দুপুরে বাংলা ভাগের চক্রান্তের প্রতিবাদে আলিপুরদুয়ার চৌপতি এলাকায় দুপুর একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সদস্যরা। |