কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার নির্দিষ্ট হারে টাকা দেওয়া সত্ত্বেও পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বাড়েনি। টাকা পড়ে থাকছে বলে অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বাবদ কেন্দ্র ও রাজ্য যত অর্থ মঞ্জুর করে, ওই খাতেই তা পুরোপুরি খরচ হচ্ছে কি না। ১৫ দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে তা জানানোর জন্য মঙ্গলবার সর্বশিক্ষা মিশনের প্রকল্প অধিকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার।
বেতন না-বাড়ায় হাইকোর্টে মামলা করেছে নিখিলবঙ্গ পার্শ্বশিক্ষক সমিতির সল্টলেক কমিটি। ওই শিক্ষকদের অভিযোগ, কেন্দ্র ও রাজ্য বেতন বাবদ যে-টাকা মঞ্জুর করেছে, সেই অনুযায়ী তাঁদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিচারপতি এই ব্যাপারে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেন।
এখন রাজ্যে প্রাথমিক স্তরে পার্শ্বশিক্ষকের সংখ্যা ২৩ হাজার ৮৪৪ এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে ৩০ হাজার ৭৪৪। এ দিন আবেদনকারী সমিতির পক্ষে আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রাথমিক স্তরে পার্শ্বশিক্ষকেরা ৫,৪০০ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকেরা ৭,৪২৫ টাকা পান। বেতনের ৬৫% দেয় কেন্দ্র, ৩৫% দেয় রাজ্য। কেন্দ্র ২০১২-’১৩ সালে প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য ১৯ কোটি ৯৩ লক্ষ এবং উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য ৩৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছে। বেতন বাবদ রাজ্য ও কেন্দ্রের মঞ্জুর করা টাকা যোগ দিলে যা দাঁড়ায়, তাতে ওই শিক্ষকদের বেতন বেশি হওয়ার কথা। আগেকার বাম সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, পার্শ্বশিক্ষকদের ন্যূনতম বেতন ৬,৬০০ টাকা করা হবে। কিন্তু তা করা হয়নি। উল্টে বেতন বাবদ মঞ্জুর করা সব টাকা ওই খাতে পুরোপুরি খরচ হচ্ছে না।
|
কাজ দেখতে পরশু বৈঠক মমতার |
রাজ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার টাউন হলে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য, বিভিন্ন দফতরের সচিব এবং জেলাশাসকেরা উপস্থিত থাকবেন। এ বছরের গোড়ায় এই ধরনের একটি বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি সূত্রের খবর, এই ক’মাসে বিভিন্ন দফতরের কাজ কতটা এগিয়েছে, খতিয়ে দেখবেন মমতা। তাঁর মন্ত্রিসভার এক সদস্য বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে জেলাগুলিতে নতুন প্রশাসন কাজ শুরু করবে। তাদের কাজের অভিমুখ ও অগ্রাধিকার কী হবে, ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তা ব্যাখ্যা করবেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ঘোষিত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চান মমতা। বৈঠকে সেই অনুসারে নির্দেশও দেবেন তিনি। |