প্রধান পদ নিয়ে জটিলতা শ্যামপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্যামপুর |
হুগলির গোঘাটের ছায়া দেখা গেল হাওড়ার শ্যামপুরেও।
পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গিয়েছে। আগামী ১৬ অগস্ট বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু হওয়ার মুখে। কিন্তু পঞ্চায়েতের নিয়মে দেখা দিয়েছে জটিলতা। হাওড়ার শ্যামপুর-২ ব্লকের খাড়ুবেড়িয়া পঞ্চায়েতেও পঞ্চায়েত প্রধান পদের দাবিদার নিয়ে দেখা দিয়েছে সমস্যা। এই পঞ্চায়েতে মোট ২১টি আসন। এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছে ১৩টি আসন, সিপিএম পেয়েছে ৬টি আসন এবং বাম সমর্থিত নির্দল পেয়েছে ২টি আসন। এই পঞ্চায়েতের প্রধান পদটি তফসিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। কিন্তু নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও এই প্রধান পদের জন্য দাবিদার কোনও তফসিলি মহিলা প্রার্থী তৃণমূল থেকে জয়লাভ করেননি। অন্য দিকে, ওই পঞ্চায়েতের নারায়ণপুরের আসন থেকে তৃণমূলের মহিলা তফসিলি প্রার্থী দেবযানী মান্নাকে হারিয়ে জয়লাভ করেছেন সিপিএমের একমাত্র মহিলা তফসিলি প্রার্থী কাকলি বেরা। তাই শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের জেতা পঞ্চায়েতে সিপিএম প্রার্থী প্রধান হবেন কিনা, তা নিয়েই জটিলতা।
যুযুধান দুই দলের নেতারা নিজেদের মধ্যে আপসে রাজি হবেন কিনা, সেই বিষয়টি ভাবাচ্ছে সরকারি আধিকারিকদেরও।
এ বিষয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার বলেন, “আমরা কোনও অবস্থাতেই চাই না সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হোক। ভোটের পর এই সমস্যা অনেকগুলি গ্রাম পঞ্চায়েতেই তৈরি হয়েছে। তবে সমস্যাটা তৃণমূলের। ওরা উপপ্রধানকে সামনে রেখে কাজ করতে পারে। প্রয়োজন হলে কাউকে পদত্যাগ করিয়ে সেই আসনে কাউকে জিতিয়ে আনতে পারে। আমরা কোনও অবস্থাতেই তৃণমূল বা অন্য কোনও দলের সঙ্গে হাত মেলাব না।” অন্য দিকে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরূপ রায় বলেন, “বিষয়টি নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। খুব শীঘ্রই আমরা দলে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। প্রয়োজনে আইনানুগ বিষয়গুলি খতিয়েও দেখা হবে।”
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মনোভাব কিন্তু অন্য রকম। ওই এলাকার এক তৃণমূল নেতা শ্রীধর মণ্ডল বলেন, “প্রয়োজন হলে উন্নয়নের স্বার্থে অন্য দলের কাউকে প্রধান হিসেবে আমাদের মেনে নিতে কোনও আপত্তি নেই। এর আগে রাধাপুর পঞ্চায়েতেও এ রকম হয়েছিল। তবে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, দলগত ভাবেই নেওয়া হবে।” কী বলছেন প্রধান পদের একমাত্র দাবিদার কাকলি বেরা? তাঁর কথায়, “দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই করব। তবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।”
বড়দের পারস্পরিক দোষারোপে অন্ধকারেই ভবিষ্যত তৈরি হচ্ছে কচিকাঁচাদের। |