প্রার্থনা শেষের আগেই জঙ্গি হানা, নিহত ৪৪
বাতাসে তখনও মিলিয়ে যায়নি আজানের রেশ। হঠাৎই সেই শব্দকে ছাপিয়ে ভেসে এল ঝাঁকে ঝাঁকে গুলির আওয়াজ। সেনার পোশাকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে নাইজেরিয়ার মসজিদে ৪৪ জনকে হত্যা করল বোকো হারাম জঙ্গিরা। কাছেই অন্য একটি শহরে একই ধরনের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১২ জন নাগরিক।
রাজধানী মেদুগুরি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কোনদুগা শহর। সেখানেই রবিবার ভোরের নমাজ শেষের আগে হামলা চালায় মুসলিম জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম। কিন্তু উত্তর-পূর্বের এই অংশে জরুরি অবস্থা জারি থাকায় বিপর্যস্ত মোবাইল পরিষেবা। ফলে এই খবর সামনে এসেছে গত কাল। সোমবার বোকো হারাম নেতা আবুবকর শেকাউের এক ভিডিও হাতে পান সাংবাদিকরা। তাতে এই হামলার দায় স্বীকার করে এ রকম আরও হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই জঙ্গি নেতা। ভিডিওতে আবুবকরকে এ-ও বলতে শোনা গিয়েছে, “এই সরকার নিজেদের শক্তিশালী বলে বড়াই করে। এ বার ওরা আমাদের শক্তি দেখুক। আমরা এখন মার্কিন সেনাদের সঙ্গে লড়ারও ক্ষমতা রাখি।”

নাইজেরিয়ার রাস্তায় সাঁজোয়া গাড়ির টহল। —ফাইল চিত্র
নাইজেরিয়ার সরকারকে সরিয়ে দেশের ক্ষমতা দখল করে শরিয়তি আইন প্রতিষ্ঠা করতে চায় বোকো হারাম জঙ্গিরা। কিন্তু এই বার হামলার জন্য তারা প্রার্থনারত মুসলিমদের কেন বেছে নিল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর আগে একাধিক বার গির্জায় হামলা চালিয়েছে তারা। তাদের ধর্মীয় গোঁড়ামি মানতে যে মৌলবিরা অস্বীকার করেছিলেন, আক্রমণের নিশানা হয়েছিলেন তাঁরাও। সেনাবাহিনী থেকে আমলা, ছাত্র থেকে শিক্ষক, বোকো হারামরা রেয়াত করেনি কাউকেই। ২০১০ সাল থেকে তাদের একের পর এক আক্রমণে দেশ জুড়ে মারা গিয়েছেন দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ।
ক’দিন আগেই এক সেনা ছাউনি আক্রমণ করেছিল এই জঙ্গিরা। তাদেরই উর্দি পরে রবিবার মসজিদে জঙ্গিরা ঢুকে পড়েছিল বলে মনে করছে পুলিশ। পরে রাজধানীর অদূরে নোম গ্রামের কাছেও জঙ্গিরা হামলা চালায়। এতে নিহত হয়েছেন আরও বারো জন। গুলির আঘাতে গুরুতর জখম ২৬ জনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে জঙ্গিদের চিহ্নিত করার কাজ এর মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে, দাবি প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার।

ব্রিটেনে যাওয়ার আমন্ত্রণ মোদীকে

ব্রিটেনে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন নরেন্দ্র মোদী। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সে আধুনিক ভারতের ভবিষ্যত্‌ নিয়ে বক্তৃতা দেওয়ার কথা তাঁর। এই আমন্ত্রণের বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন ব্রিটেনের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের ভারতপন্থী গোষ্ঠী। গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গার পরে ব্রিটেন, আমেরিকা-সহ নানা পশ্চিমী দেশে ব্রাত্য ছিলেন মোদী। কিন্তু, সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ করেন ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ কূটনীতিকরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.