স্কুল সার্ভিস কমিশনের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও মৌখিক পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে দুই শিক্ষকের। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রয়োজনীয় ‘কন্টিনিউয়েশন সার্টিফিকেট’ ও ‘নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দিতে চাইছে না বলে অভিযোগ। এই মর্মে তাঁরা পুরুলিয়ার জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন।
রঘুনাথপুর ২ ব্লকের মৌতোড় গ্রামের মানদা সুন্দরী হাইস্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক মানিক রায় ও পদার্থবিদ্যার শিক্ষক আশিস ঘোষ স্কুলের আর চার শিক্ষকের সঙ্গে বাড়ির কাছাকাছি কোনও স্কুলে চাকরি নেওয়ার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বসেছিলেন। ছ’জনের মধ্যে ওই চার জন মৌখিক পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁদের দাবি, “ওয়েবসাইটে ফল দেখার পরেই আমরা ওই দু’টি শংসাপত্র চেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু প্রধানশিক্ষক জানিয়ে দেন তাঁরা ওই সার্টিফিকেট দেবেন না।” উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা মানিক রায় পুরুলিয়ায় বিএড পড়তে এসে স্কুল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে মৌতোড়ের এই স্কুলে চাকরি পান। সাত বছর ধরে তিনি এখানেই শিক্ষকতা করছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা আশিস ঘোষ চার বছর ধরে এখানে শিক্ষকতা করছেন। তাঁদের বক্তব্য, “স্কুল সার্ভিস পরীক্ষা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকাতেই উল্লেখ রয়েছে কোনও স্কুলে দু’বছর শিক্ষকতা করার পরে ফের পরীক্ষায় বসা যায়। তা হলে কেন স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে?”
স্কুলের প্রধানশিক্ষক অলকানন্দ মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্কুলে প্রায় ৮৫০ জন ছাত্র। শিক্ষকের সংখ্যা ২৪, শূন্যপদ ছয়। পার্শ্বশিক্ষক রয়েছেন চার জন। তাঁরাও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছেন। এই অবস্থায় পরিচালন সমিতি মনে করছে ওই দুই শিক্ষক স্কুল ছেড়ে চলে গেলে পঠনপাঠনের সমস্যা হবে। শূন্য পদ পূরণ হতেও সময় লাগছে। ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই পরিচালন সমিতি আপাতত তাঁদের ছাড়তে রাজি নয়।”
জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “সাধারণত স্কুলের পরিচালন সমিতি এই ধরনের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের ছাড়পত্র দিয়ে দেয়। তবে বিষয়টি ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির বিষয়। তাদের সিদ্ধান্তের উপরে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না।” |