টুকরো খবর
বিজয় মিছিল ঘিরে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ
বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে সিপিএমের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম হলেন এক তৃণমূল কর্মী। রবিবার রাতে মহিষাদলের দক্ষিণ বেতকুণ্ডু গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ বার বেতকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী শেখ আনোয়ার। তাঁর ভাই সিপিএম প্রার্থী শেখ আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। এ দিন সন্ধ্যায় শেখ আনোয়ারের সমর্থনে বিজয় মিছিল বের করে তৃণমূল। অভিযোগ ওই মিছিল থেকে সিপিএম প্রার্থী শেখ আহমেদের বাড়িতে আবির ছোড়া হয়। এমনকী জোর করে তাঁকে আবির মাখানোরও অভিযোগ ওঠে। রাতে মিছিলের ফেরার পথে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছে। বৃহস্পতি সেনী নামে এক তৃণমূলকর্মীকে গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় বাশুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এলাকার সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল কর্মীরা জোর করে শেখ আহমেদ-সহ দলীয় কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে আবির মাখাচ্ছিল। এর প্রতিবাদ করতে গিয়েই দলীয় কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছে।” তৃণমূল নেতা পলাশ হালদারের পাল্টা অভিযোগ, “আহমেদ নিজেই আবির কিনে বাড়িতে ছড়িয়ে আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে।”সোমবার সকালে এলাকায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা জড়ো হলে ফের উত্তেজনা ছড়ায়। তবে উর্ধ্বতন নেতৃত্বের নির্দেশে জমায়েত উঠেও যায়।

জাল শংসাপত্র, বরখাস্ত পিওন
বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল শংসাপত্র দেখিয়ে ৩৩ বছর চাকরি করার পর অবশেষে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক স্কুলের পিওন। খেজুরি থানার লাক্ষ্মী অভিনব বিদ্যালয়ে ১৯৮০ সাল থেকে চাকরি করছেন বিদ্যাধর মণ্ডল। চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় তাঁর দেওয়া বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সব শংসাপত্র জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাই জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পূরবী নন্দী গত ৫ অগস্ট অভিযুক্ত ওই পিওনকে অবিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকী ৩৩ বছর ধরে পাওয়া বেতন ফেরত নেওয়ার জন্যও কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাল শংসাপত্র দিয়ে চাকরির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে রুজু হওয়া এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত গত ১৬ জুন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন। সেই নির্দেশমতো জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক গত ১৮ জুলাই বৈঠক করেন। বৈঠকে বিদ্যাধর মণ্ডলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরপরই বিদ্যালয় পরিদর্শক তাঁকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন।

বিজয়ীদের সংবর্ধনা
কেশপুর ও সবং ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হল। সোমবার কেশপুর স্টেডিয়ামে ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতে জয়ী সকলকে সংবধর্না দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ, ইমদাদুল ইসলাম, ব্লক সভাপতি তপন চক্রবর্তী। সবংয়ের অনাথবন্ধু স্টেডিয়ামে সবংধর্না অনুষ্ঠানটি হয় রবিবার। সেখানেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী দলীয় প্রার্থীদের তৃণমূলের তরফে সংবর্ধনা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতি। বিজয়ী প্রার্থীদের স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। নির্মলবাবু বলেন, “দীর্ঘ ৩৪ বছরের অপশাসন ও অনুন্নয়নে মানুষ তিতিবিরক্ত। মানুষকে কাছে টেনে নিতে হবে। স্বচ্ছ প্রশাসন ও উন্নয়নে গতির মাধ্যমেই তা সম্ভব। সেটাই আমাদের করে দেখাতে হবে।”

নতুন জেলাশাসক
নতুন জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারিকে চেয়ার ছেড়ে
দিচ্ছেন বিদায়ী জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত।— নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুরে নতুন জেলাশাসক হলেন গুলাম আলি আনসারি। সোমবারই তিনি বিদায়ী জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্তের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন। সুরেন্দ্র গুপ্ত যাচ্ছেন কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে। আর গুলাম আলি আনসারি এর আগে পুরুলিয়ার জেলাশাসক ছিলেন।

কোদালের কোপে মৃত্যু
জমিতে সেচের জল দেওয়ার সময় বচসার জেরে নিজেদের কোদালের আঘাতে মৃত্যু হল দু’জনের। শনিবার বিকেলে সাঁকরাইল থানার ছত্রি অঞ্চলের কুলঘাগরি গ্রামের ঘটনা। মৃতরা হলেন শম্ভু মুর্মু (২০) ও ঈশ্বর হেমব্রম (৪০)। দু’জনেরই বাড়ি কুলঘাগরি গ্রামে। শনিবার একটি ভাড়া করা পাম্প-সেটের মাধ্যমে চাষজমিতে সেচের জল দিচ্ছিলেন শম্ভু ও ঈশ্বর। সেখানে দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তারপর একে অপরকে কোপায়।

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। মৃতের নাম সুবোধ কুইল্যা (৫০)। বাড়ি মেচেদা সংলগ্ন শান্তিপুর গ্রামে। সোমবার সকালে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই খাদানের কাছে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সুবোধবাবু কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই খাদানে শ্রমিকের কাজ করতেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.