|
|
|
|
কোচেদের বিশ্লেষণ |
‘ব্যর্থতাকে ভয় পায় না বলেই শিখর ভয়ঙ্কর’
চেতন নারুলা • নয়াদিল্লি |
ব্যর্থতার ভয়কে ঘাড় থেকে বরাবরের মতো নামিয়ে ফেলা। এবং অতীতকে আর বিন্দুমাত্র পাত্তা না দেওয়া।
কখনও ভারত, কখনও ভারত ‘এ’। শিখর ধবনের অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতার কারণ খুঁজতে বসে, ঠিক এই কথাগুলোই মনে হচ্ছে তাঁর দুই কোচের।
একজন, শিখরের ছোটবেলার কোচ তারক সিংহ। অন্য জন, এক সময় শিখরের সঙ্গে দিল্লির হয়ে খেলেছেন। বর্তমানে কোচ। তিনি— বিজয় দাহিয়া। সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে শিখরের অবিশ্বাস্য ২৪৮ রানের ইনিংসকে ঘিরে তাঁদের মধ্যে উচ্ছ্বাস এবং বিস্ময়, দু’টোই কাজ করছে।
“শিখর এই মুহূর্তে যে ফর্মে, সেটা আগে কখনও দেখিনি। যদি জিজ্ঞেস করেন, কী কারণে এ ভাবে খেলতে পারছে, বলা খুবই মুশকিল হবে। আমি দিল্লির হয়ে নেটে ওকে যা করতে দেখেছি, তাতে অবাক করা কিছু ঘটতে দেখিনি। |
|
চারশো মতো রান করেছিল মরসুমে, যেটা একজন ওপেনারের কাছে বিরাট ব্যাপার নয়। কিন্তু যখন টেস্ট টিমে ঢুকল, দেখলাম শিখর পুরো পাল্টে গিয়েছে। পুরো অন্য এক শিখর ধবন, যাকে আগে দেখিনি,” বলছিলেন দাহিয়া। সঙ্গে দিল্লি কোচের সংযোজন, “আসলে শিখর নিজের সহজাত খেলাটা খেলতে আর ভয় পায় না। মাঠে যখন ঢোকে তখন অতীতে কবে কী ঘটেছে, সে সব মাথায় রাখে না। আরও একটা ব্যাপার। ও আর ব্যর্থতাকে ভয় পায় না। আমার মনে হয়, ওর এই আমূল পরিবর্তনের পিছনে এটাই কারণ।”
প্রায় একই কথা বলছেন শিখরের ছোটবেলার কোচ তারক সিংহ। “ও বরাবরই আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান। কখনও দেখিনি নিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং নিয়ন্ত্রণে রাখতে,” বলছিলেন তারক। “ও শুধু একটা জিনিস বোঝে। ভারতের হয়ে রান করে যাওয়া আর মনোভাবটা ইতিবাচক রেখে ক্রিকেট খেলে যাওয়া।”
ভারত ‘এ’ দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগে ছোটবেলার কোচের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন শিখর। তারক বলছিলেন, “ও বলছিল, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরটা ওর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। কারণ বছরের শেষে এই দক্ষিণ আফ্রিকাতেই ভারতীয় দল খেলতে যাবে। ও এই সফরটাকে একটা নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরছিল। ওর পরিণতিবোধ, ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকায় রান পাওয়া একটা ব্যাপারই বোঝাচ্ছে। শিখরের ক্রিকেট একদম ঠিক দিকে এগোচ্ছে। |
|
|
|
|
|