কোর্টের নির্দেশে প্রেমিকাকে বিয়ে
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছিল এক যুবক। কিন্তু প্রেমিকার গর্ভে সন্তান এসেছে জেনেই সে বেপাত্তা হয়ে যায়। অন্তঃসত্ত্বা তরুণী আদালতে যায়। মামলা চলাকালীন পুত্রসন্তানের জন্ম দেয় সে। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয় পলাতক প্রেমিক সুর্দশন পাতর। আদালতের নির্দেশে তার জেল হেফাজত হয়। তবে বিয়ে করার শর্তে জামিন পেয়েছে ওই যুবক। সেই শর্ত মেনেই সোমবার প্রেমিকা লক্ষ্মীকে বিয়ে করল সুদর্শন। মেদিনীপুর রেজিস্ট্রি অফিসে হল বিয়ে।
সপরিবার সুদর্শন পাতর।— নিজস্ব চিত্র।
লক্ষ্মী বাস্কে ও সুদর্শন পাতরের বাড়ি মেদিনীপুর সদর ব্লকের জোয়ারবাটি গ্রামে। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর দাদাদের কাছেই থাকত লক্ষ্মী। পাড়াতেই গাড়ির চালক সুদর্শনের সঙ্গে তার পরিচয়। ক্রমে প্রেম ও ঘনিষ্ঠতা। লক্ষ্মী ও সুদর্শনের সন্তানের বয়স এখন এক বছর। মামলা চলাকালীন লক্ষ্মী ও তার সন্তানকে হোমে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। গত জুনে লক্ষ্নীকে বিয়ের শর্তে জামিন পায় সুদর্শন। কিন্তু সুদর্শনের প্রকৃত বয়স, তার নথি তখনও আদালতের কাছে পৌঁছয়নি। ৬ অগস্ট সেই নথি আদালতে জমা দেওয়া হলে পরিষ্কার হয় যে, সুদর্শন বয়স ২১ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে বিয়েতে বাধা নেই।
হোমের দায়িত্বপ্রাপ্ত অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বয়সের উপযুক্ত প্রমাণপত্র দেওয়ার পরই আদালত জানিয়ে দেয় যে এ বার বিয়ে দেওয়া যাবে। পাত্র ও পাত্রীও রাজি হয়ে যান।” এ দিন অরিন্দমবাবুই দু’জনকে রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে গিয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। বিয়ের পর ছেলে শুভ ও স্ত্রী লক্ষ্মীকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে চলে যায় সুদর্শন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.