একটু বৃষ্টি হলেই মধ্য হাওড়ার পঞ্চাননতলা রোড-সহ বিভিন্ন এলাকায় ২০ থেকে ২৪ ঘণ্টার আগে জল সরছে না। তা পেরিয়েই স্কুলে যেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। গত রবিবার টানা বৃষ্টির পরে অবস্থা আরও দুঃসহ হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, খোলা নর্দমার পলি দীর্ঘ দিন না তোলায় এই হাল। তাঁদের আশঙ্কা, পুরসভা অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে নোংরা জল থেকে দূষণ ছড়াবে। অভিযোগ অস্বীকার করে পুরসভা অবশ্য দাবি করেছে, ওই এলাকায় আগের মতো জল জমে না। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টি হলেই নর্দমা উপচে রাস্তা চলে যায় ৫-১০ ইঞ্চি জলের তলায়। আশপাশের গলিগুলি বড় রাস্তার তুলনায় নিচু হওয়ায় সেখানে জমে প্রায় হাঁটু সমান জল। |
পঞ্চাননতলা এলাকার বাসিন্দা, পরিবেশকর্মী ও গণতান্ত্রিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ দত্তের অভিযোগ, “খোলা নর্দমাগুলি থেকে নিয়মিত পলি না তোলায় বৃষ্টি হলেও সেগুলির জল বহন ক্ষমতা থাকছে না। ভূগর্ভস্থ পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা শুরু থেকেই অকেজো থাকায় হাওড়া শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।” তাঁর অভিযোগ, গত রবিবার বৃষ্টির পরে সোমবার বিকেল পর্যন্ত শুধু পঞ্চাননতলা নয়, হাওড়ার বহু জায়গায় জল জমে ছিল। সমস্যা মোকাবিলায় হাওড়া পুরসভার এই ব্যর্থতার জন্য সোমবার সুভাষবাবু মেয়র মমতা জয়সোয়ালের পদত্যাগ দাবি করে তাঁকে চিঠি দিয়েছেন।এ বাপারে হাওড়া পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) দেবাশিস ঘোষ বলেন, “এই অভিযোগ ঠিক নয়। পঞ্চাননতলা এলাকায় আগের মতো আর জল জমে না। জমলেও দ্রুত নেমে যায়। কারণ, ওই জায়গায় নিয়মিত নর্দমা থেকে পলি তোলা হয়। তা ছাড়া, হাওড়া নিচু জায়গা হওয়ায় জল জমা স্বাভাবিক। কিন্তু উন্নত নিকাশি ব্যবস্থার কারণে কোথাও দীর্ঘক্ষণ জল জমে থাকে না।” |