‘ধর্ষণ’, গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তাঁর বাড়িওয়ালা। ধৃত সুশান্ত মণ্ডল মাছ ব্যবসায়ী। পুলিশ জানায়, ওই গৃহবধূ তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে বালি দুর্গাপুরের সাহেববাগানে সুশান্তবাবুর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাঁর স্বামী লরি চালান। অভিযোগ, সুশান্তবাবু ওই বধূকে প্রায়ই ‘কুপ্রস্তাব’ দিতেন। ওই বধূর আরও অভিযোগ, রবিবার স্ত্রী ও মেয়ে না সুযোগে সুশান্তবাবু একতলায় এসে ওই গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে টেনে উপরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। অভিযোগ, ঘটনাটি কাউকে বললে মেরে ফেলারও হুমকি দেন। আরও অভিযোগ, সোমবার সকালে ওই গৃহবধূ সুশান্তবাবুর স্ত্রীকে বিষয়টি জানালে সুশান্তবাবুর স্ত্রী অভিযোগ মিথ্যা বলে তাঁকে মারধর করেন। দুপুরে ওই গৃহবধূ বাড়ি থেকে পালিয়ে নিশ্চিন্দা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।
|
মায়ের কাছে ফিরল ছেলেরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • উত্তরপাড়া |
মায়ের আবেদনের ভিত্তিতে বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে দুই শিশুপুত্রকে উদ্ধার করে আনল উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলবাবু সিংহ নামে এক ব্যক্তি খুন হন। অভিযোগ ওঠে, নিহতের স্ত্রী পূজা দুই দুষ্কৃতী লাগিয়ে তাঁর স্বামীকে খুনের ঘটনায় যুক্ত। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, পুরঞ্জয় সিংহ নামে এক যুবকের সঙ্গে ওই মহিলার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তার জেরেই খুন। পুলিশ পূজা এবং পুরঞ্জয়কে গ্রেফতার করে। ফুলবাবু-পূজার দুই সন্তানকে ফুলবাবুর বাড়ির লোক বিহারে নিয়ে যান। পূজা পরে জামিন পেয়ে আদালতে দুই শিশুপুত্রকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই দাবি মানতে চাননি। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে বিহারের পারসৌনি গ্রাম থেকে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ শিশু দু’টিকে নিয়ে আসে। শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক জয়সি দাশগুপ্তের কাছে নির্দেশে সোমবার দুই ছেলেকে মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
|
বকখালির সমুদ্রে মৃত ২, নিখোঁজ ১ |
সমুদ্রে স্নান করতে নেমে বকখালিতে ডুবে মারা গেলেন দুই যুবক। এক জন নিখোঁজ। ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা সূত্রের খবর, রবিবার কলকাতা থেকে ১১ জন যুবকের একটি দল বকখালিতে বেড়াতে আসেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁরা সমুদ্রে স্নান করতে নেমেছিলেন। জোয়ার ছিল। তিন জন অন্যদের থেকে এগিয়ে গিয়েছিলেন। আচমকাই তাঁরা তলিয়ে যান। অন্যেরা থানায় খবর দিলে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। বিকেল নাগাদ গোলাম মোস্তাফা (২০) ও আব্বাস হোসেন (২১) নামে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়। কলেজ পড়ুয়া গোলাম কলকাতার দিলখুশ লেনের বাসিন্দা। আব্বাস ও নিখোঁজ যুবক জুতোর ব্যবসায়ী। দু’জনেই বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা। সাঁতার না জানাতেই তিন জন ডুবে যান বলে পুলিশের অনুমান।
|
তরুণ দম্পতিকে পুলিশি হেনস্থা তদন্তের নির্দেশ |
প্রাপ্তবয়স্ক দুই তরুণ-তরুণী নিজেদের মতো করে সংসার পেতে আত্মীয়স্বজনের রোষে পড়েছেন বলে অভিযোগ করলেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে। আশিস ও মনামি মণ্ডল নামে ওই দম্পতি জানান, বাড়ির অমতে বিয়ে করায় মেয়ের পরিবার পুলিশ দিয়ে তাঁদের হয়রান করাচ্ছে। তাঁরা পুলিশকে বয়সের প্রমাণপত্র দেখানো সত্ত্বেও হয়রানি বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ। কমিশন এ দিনই ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কমিশনের রেজিস্ট্রার রবীন্দ্রনাথ সামন্ত জানান, ওই দুই তরুণ-তরুণী ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে করেন। অভিযোগ, তার পর থেকেই দমদম পুলিশ কখনও থানায় ডেকে, কখনও বা বাড়িতে গিয়ে হেনস্থা করছে। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকে দু’সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলেছে কমিশন।
|
লরিতে পিষ্ট হয়ে প্রৌঢ়ার মৃত্যু |
দক্ষিণেশ্বরে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে এক প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম শিবানী ধর (৫৮)। তিনি দক্ষিণেশ্বরেরই টি এন মুখার্জি রোডের বাসিন্দা ছিলেন। সোমবার সকালে রিকশায় করে পানিহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে যাচ্ছিলেন শিবানীদেবী। গর্তে চাকা পড়ে রিকশা উল্টে গেলে রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিছন থেকে আসা একটি লরি তাঁর মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান শিবানীদেবী। রিকশাচালকের সামান্য আঘাত লাগে। লরিটির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
|
সোমবার গোঘাটের বাজুয়া গ্রামে ধান রোপণের সময়ে বজ্রাঘাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হল। পুলিশ জানায়, তাঁদের নাম নিতাই বাগ (৩৫) এবং বিকাশ সাঁতরা (২৮)। বাড়ি বাজুয়াতেই। পুলিশ দেহ দু’টি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে। |