রাজনৈতিক সন্ত্রাসের জেরে মাস চারেক হতে চলল আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে ১৬টি পরিবারের ঘর। ঘটনাস্থল খানাকুলের পাতুল মাঝপাড়া। তপসিলি অধ্যুষিত পাড়াটির সিপিএম কর্মী-সমর্থক ওই সব ঘরপোড়া পরিবারের প্রশাসনের কাছে দাবি ছিল পুনর্বাসনের। সেই দাবি নিয়ে প্রশাসন উদাসীন বলে অভিযোগ। এ দিকে, বর্ষার মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। অবশেষে দল থেকেই তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হল।
প্রশাসনের তরফে পর্যাপ্ত ত্রাণ দেওয়া হয়নি বলেই দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির। যদিও হুগলির জেলাশাসক মনোমিত নন্দা এ ব্যাপারে বলেন, “বহু বার পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।” জেলাশাসক জানান, পুড়ে যাওয়া জব কার্ডও দেওয়া হয়েছে। এমনকী পড়ুয়াদের বইপত্র পর্যন্ত দিয়েছে প্রশাসন। পুনর্বাসনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিবকে লিখিত জানানো হয়েছে।
শনিবার ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে টাকা তুলে দেন আরামবাগ সাংসদ শক্তিমোহন মালিক, প্রাক্তন বিধায়ক বিনয় দত্ত, সিপিএমের খানাকুল জোনাল কমিটির সম্পাদক মনীন্দ্র রানা-সহ দলের জেলা ও মহকুমা নেতৃত্ব। এপ্রিল মাসের ১০ তারিখ সকালে বোমা ফাটাতে ফাটাতে শ’দেড়েক দুষ্কৃতী পাতুলের মাঝপাড়ায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়। তৃণমূলের দিকে অভিযোগের তির থাকলেও তা অস্বীকার করেন দলের স্থানীয় নেতৃত্ব। বিরোধী নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র এলাকায় ঘুরে যান। |