|
|
|
|
ওমরকে সতর্কবার্তা কেন্দ্রের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কিস্তওয়ারের উত্তেজনা আর সীমান্তে পাক সেনার সঙ্গে লাগাতার গুলি বিনিময়। এই দুইয়ের জেরে কাশ্মীর প্রশ্নে আজ দফায় দফায় অচল হল সংসদ। বেসরকারি সূত্রের খবর, এ দিনও কিস্তওয়ারে অন্তত ৬ জন জখম হয়েছেন সংঘর্ষে। বিজেপি-র অভিযোগ এর পিছনে পাকিস্তানের উস্কানি রয়েছে। তারা ওখানে ১৯৯০ সালের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র আজ একটি সতর্কবার্তাও পাঠিয়েছে ওমর আবদুল্লার সরকারকে।
অধিবেশনের শুরুতেই সংসদের উভয় কক্ষে আজ কাশ্মীরের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবি তোলে বিজেপি ও অন্য সব বিরোধী দল। রাজ্যসভায় মেনে নিলেও সরকার লোকসভায় ওই দাবি মানেনি। ফলে দু’পক্ষের হট্টগোলে অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে হয় লোকসভায়। রাজ্যসভায় কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রকে আরও সক্রিয় হতে অনুরোধ করে বিরোধীরা। রাষ্ট্রপতি শাসনেরও দাবি জানান মায়াবতী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল শিন্দের অনুপস্থিতিতে রাজ্যসভায় সরকারের হাল ধরেন পি চিদম্বরম। তিনি আশ্বাস দেন, (কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহারে ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য করার) যে ঘটনা ১৯৯০ সালে ঘটেছিল, এ বার আর তার পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া হবে না। ওমর প্রশাসনকে দিল্লি সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত।”
সংসদে সরকার এ ভাবে ওমরের পাশে দাঁড়ালেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে কিন্তু জম্মু-কাশ্মীর সরকারের ভূমিকা নিয়ে কিছুটা অসন্তোষই প্রকাশ করা হয়েছে আজ। কিস্তওয়ারের ঘটনার জেরে জম্মু-কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজাদ কিচলু এ দিন ইস্তফা দিয়েছেন। এ নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তবু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের মতে, ঘটনার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেনি ওমর সরকার। কেন্দ্রের তরফে যথেষ্ট গোয়েন্দা তথ্য জানানো সত্ত্বেও সোমবার পর্যন্ত কিস্তওয়ারের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। এমনকী ওখানে ঠিক কী ঘটেছে রবিবার রাতের আগে তার প্রাথমিক রিপোর্ট পর্যন্ত দিল্লিতে এসে পৌঁছায়নি। দেরি হয়েছে সেনা নামানোর ক্ষেত্রেও।
আজ রাজ্যসভায় ওমর সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির আক্রমণের মুখে কার্যত অসহায় ভাবে বসে থাকতে দেখা যায় ওমরের বাবা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে। |
|
|
|
|
|