|
|
|
|
দিল্লির পথে এক সুরে আলাদা সভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দু’পক্ষেরই প্রতিবাদ কেন্দ্রের ‘জনবিরোধী নীতি’র বিরুদ্ধে। এবং রাজধানীর রাজপথে নেমেই প্রতিবাদ জানাল দু’পক্ষ। যন্তরমন্তরে যখন তৃণমূল সমর্থিত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা, তখন পাশেই সংসদ মার্গে সিপিএমের যুবরা। পশ্চিমবঙ্গের শাসক ও বিরোধী দলের কেন্দ্র-বিরোধী রাজনীতি এ ভাবেই এক সঙ্গে উঠে এল রাজধানীতে। এক দিকে ছিলেন সৌগত রায়, সুব্রত বক্সি, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, তাপস রায়ের মতো তৃণমূল নেতারা। অন্য দিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার থেকে সীতারাম ইয়েচুরি, হান্নান মোল্লারা। এবং দু’পক্ষেরই ভাষা ছিল প্রায় এক।
আরও একটি কাজ সারলেন দুই শিবিরের নেতারা। রাজধানীতে দুই দলের নেতারাই লোকসভা ভোটের সলতে পাকানোর কাজটাও শুরু করে দিলেন। তৃণমূলের নেতারা যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে বিকল্প সরকার গঠনের ডাক দিচ্ছেন, তখন যুব নেতাদের দাবি, তাঁরাই বিকল্প নীতির সন্ধান দিতে পারেন। ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’-এর অনুকরণে আজ ‘অকুপাই পার্লামেন্ট স্ট্রিট’-এর ডাক দেয় সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। যার জন্য গোটা দেশ থেকে সিপিএমের যুবর কর্মীরা দিল্লিতে জড়ো হন। প্রতিবাদ সভার উদ্বোধন করতে আমন্ত্রণ জানানো হয় মানিক সরকারকে। কেন্দ্রের শূন্য পদ পূরণ না করা, বিদেশি বিনিয়োগের দরজা খুলে দেওয়ার প্রতিবাদে সরব ছিলেন তাঁরা। প্রায় একই দাবি নিয়ে যন্তরমন্তরে সভা করে তৃণমূল সমর্থিত পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা।
মানিকের অভিযোগ, “কেন্দ্র সব পদে নিয়োগ বন্ধ করে রেখেছে। সেই নীতিতারা বিভিন্ন রাজ্যের উপরেও চাপাতে চাইছে।” কার্যত একই সুরে সৌগত রায় বলেন, শূন্য পদ পূরণ হচ্ছে না। কাজ আউটসোর্স করা হচ্ছে। খুচরো শিল্প থেকে টেলিকম সর্বত্র বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|