বর্ষার জলে ফসলের ক্ষতিও হয়েছে। ফলে চাষিদের লোকসান বেড়েছে। উলিপুর গ্রামের ভাগচাষি অশ্বিনী দাস বলেন, “গতবার কুইন্টাল প্রতি বাদামের জন্য পাঁচ হাজার টাকা দাম পেয়েছিলাম। এ বার কেউ আড়াই হাজার টাকা দামও দিতে চাইছে না। এই অবস্থায় সরকার আমাদের পাশে না দাঁড়ালে আমাদের সংসার ভেসে যাবে।”
সাননিহারী গ্রামের চাষি প্রদীপ মাইতি এ বার পাঁচ বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করেছেন। গত বারের তুলনায় এ বার ফলনও ভাল পেয়েছেন। প্রদীপবাবু বলেন, “এবছর দু’বার বর্ষায় বাদাম খেত ডুবে যাওয়ায় সময়ের আগেই ফসল তুলে নিতে হয়েছে। তাছাড়া বাদামের খোলের রঙও স্বাভাবিক না থাকায় দাম পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকার ফড়েরা বাড়তি লাভের জন্য ফসলের দরও বাড়াচ্ছেন না।” এই পরিস্থিতিতে বাদাম চাষিদের দাবি, সরকার নির্দিষ্ট মূল্য ঘোষণা করে ধানের মতো বাদামও কিনুক। এছাড়া বাজারে ফড়েদের নিয়ন্ত্রণ করা, সরকারি ভাবে বাদাম মজুতের ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোমবার এগরার মহকুমাশাসকের কাছে বিক্ষোভ দেখান চাষিরা। এগরার মহকুমাশাসক অসীমকুমার বিশ্বাস বলেন, “চাষিদের লোকসান হয়েছে। তারা যাতে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পান, তার জন্য নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” |