স্পেশ্যাল ইকনমিক জোন (সেজ) বা বিশেষ আর্থিক অঞ্চলের প্রতি লগ্নিকারীদের আকর্ষণ পুনরুদ্ধারে নামল কেন্দ্র। আর সেই লক্ষ্যে সোমবার সেজ গড়তে প্রয়োজনীয় জমির ন্যূনতম পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনল তারা। শিথিল করা হয়েছে কারখানা বিক্রির শর্ত-সহ আরও কয়েকটি বিধিও।
সেজ নীতিতে আনা এই পরিবর্তনগুলির মধ্যে অন্যতম আর্থিক অঞ্চল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমির ন্যূনতম পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া। বহু পণ্যের সেজ-এর ক্ষেত্রে ওই পরিমাণ আগের ১০০০ হেক্টর থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৫০০ হেক্টরে। নির্দিষ্ট শিল্পের জন্য আর্থিক অঞ্চলে তা কমে হয়েছে ৫০ হেক্টর। তবে তথ্যপ্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা সেজ-এর ক্ষেত্রে জমির ন্যূনতম সীমার শর্তটিই তুলে দেওয়া হয়েছে। নির্মাণকারীকে শুধু ন্যূনতম বিল্ড-আপ অঞ্চলের বিষয়টি মানতে হবে। কলকাতা-সহ মুম্বই, দিল্লি (রাষ্ট্রীয় রাজধানী অঞ্চল), চেন্নাই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, পুণেতে যার পরিমাণ ১ লক্ষ বর্গ মিটার। সেজ গড়ার নীতি শিথিল হয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পার্বত্য এলাকা, গোয়া, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলেও।
আরও সহজ করা হয়েছে কারখানা বিক্রি বা মালিকানা হস্তান্তর করে সেজ থেকে বেরেনোর নীতিও। বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, অনুমোদন কমিটির ছাড়পত্র নিয়ে যে কোনও কারখানা তার সম্পদ ও দায় অন্য কাউকে হস্তান্তর বা বিক্রি করে আর্থিক অঞ্চল ছাড়তে পারে। তবে উৎপাদন শুরুর পর থেকে হস্তান্তরের দিন পর্যন্ত কারখানার কর্মকাণ্ড চালানোর মেয়াদ ন্যূনতম ২ বছর হতে হবে।
এটাও বলা হয়েছে যে, সেজ-এর অন্তর্ভুক্ত বন্দর, কারখানা বা পরিকাঠামো যদি উন্নত করা হয় বা বাড়ানো হয়, তা হলে লগ্নিও নতুন পরিকাঠামো তৈরির মতোই বিভিন্ন আর্থিক সুবিধার আওতায় আসবে।
পরিবর্তিত নীতিতে বৈদ্যুতিন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার, হস্তশিল্প এবং কৃষি ভিত্তিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিশেষ আর্থিক অঞ্চল তৈরির নীতিও শিথিল করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সচিব এস আর রাও জানান, এই সব পরিবর্তন আনার ফলে সেজ-এ আগামী দিনে লগ্নির পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে বলে আশা করছেন তাঁরা। |