খনি এলাকায় ধর্মঘট করা নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের শোনপুর বাজারির শীতলপুর সাইডিংয়ে। ঘটনায় গণেশ কোড়া নামে এক ব্যক্তিকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের কর্মীদের মারধর করেছে তৃণমূল। গণেশ কোড়াকে তাঁদের কর্মী দাবি করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে তাঁরা। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী উমেশ দুশাদ বলেন, “শীতলপুর সাইডিংয়ে ঠিকাকর্মীদের নূন্যতম সরকারি মজুরি দেওয়া হয় না। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করিয়েই কর্মীদের কাজ করানো হচ্ছে। কর্মীদের পরিচয় পত্রও নেই। এই বিষয়গুলির দ্রুত সমাধান ও ব্যঙ্কের মাধ্যমে বেতন দেওয়ার দাবিতে আমরা ১২ অগস্ট থেকে তাঁরা ধর্মঘটে সামিল হন।” উমেশবাবুর দাবি, এ দিন ধর্মঘট চলাকালীন তৃণমূলের এক দল সমর্থক জোর করে পাঁচ কর্মীকে কাজে লাগিয়ে দেয়। ও তাঁদের কর্মীদের মারধোর করে। তাঁদের এক কর্মী বাহাদুরপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি।
গণ্ডগোলের কথা স্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের পান্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতি ও সদ্য নির্বাচিত জেলাপরিষদ সদস্য নরেন চক্রবর্তী জানান, ওই সাইডিংয়ে ২১ জন ঠিকাকর্মী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মধ্যে ১১ জন তৃণমূল এবং ১০ জন নকশাল সমর্থক। তাঁর অভিযোগ, “নকশাল সমর্থকদের বিরুদ্ধে সাইডিংয়ের কয়লা চুরিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ তাঁদের বের করে দেবে জানতে পেরে তাঁরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পতাকার তলায় গিয়ে দাঁড়ায়। তাঁদের যাতে বের করতে না পারে সেই লক্ষ্যেই তাঁরা সোমবার ধর্মঘটে সামিল হয়েছিল।”
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, তাঁদের সমর্থকেরা কাজে যোগ দিতে গেলে বিরোধ শুরু হয়। দুপক্ষের ধাক্কাধাক্কি মারামারিতে পৌঁছায়। বোম, পিস্তল নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এক কর্মী তাঁদের উপর হামলা করেছিল বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। উভয়পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। শীতলপুর সাইডিং কর্তৃপক্ষ কর্মীদের দাবি নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হলেও গণ্ডগোল নিয়ে কোনও কথা বলতে চায়নি। |