নিজস্ব সংবাদদাতা • ধূপগুড়ি |
প্রতিনিয়ত ছাদ থেকে খসে পড়ছে চাঙর খসে পড়ছে। চাঙরের আঘাতে জখম হয়েছেন ৫ জন। পুরো বাজারটাই না একদিন ধসে পড়ে, এই আশঙ্কায় ত্রস্ত ধূপগুড়ি সুরেশ দে স্মৃতি মার্কেটের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতার। চার বছর আগে এই বাজার ভবনটিকে ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ বলে ঘোষণা করেছিল জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ। যদিও ব্যবসায়ীদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা থেকে বাজারের ভবন সংস্কার কোনও কাজই হয়নি বলে অভিযোগ। সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে জেলা পরিষদের নতুন বোর্ড এখনও গঠন হয়নি, তবে জেলা পরিষদের ক্ষমতা ধরে রেখেছে বামেরা। জেলা পরিষদের প্রাক্তন বাম সভাধিপতি দীপ্তি দত্ত অবশ্য বলেন, “বাজারটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। জেলা পরিষদের বাস্তুকাররা বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন।” |
ফাটল ধরেছে বাজারের থামে।—নিজস্ব চিত্র। |
জেলা পরিষদের নতুন বোর্ড গঠন হওয়ার পরেই, বাজার ভবন সংস্কারের দাবি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যৌথ সংগঠন ফোসিড-এর সভাপতি হিমাদ্রী সাহা বলেন, “বাজারের দশা খুবই করুণ। দ্রুত ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন। জেলা পরিষদকে বহু বার দাবি জানিয়েছি। আবার সেই দাবি জানানো হবে।” ১৯৯১ সালে জেলা পরিষদের থেকে জমি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি বাজারের ভবন নির্মাণ করে। বাজার নির্মাণের এক দশকের মধ্যে পলেস্তারা, ছাদের চাঙর খসে পড়তে শুরু করে। ২০০৯ সালে জেলা পরিষদের বাস্তুকাররা সুরেশ দে স্মৃতি মার্কেটকে ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ ঘোষণা করেন। বাজার সংস্কারের জন্য প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথাও জানানো হয়। নির্মাণের কাজ চলার সময়ে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য কমিউনিটি হলের কাছে ব্যবস্থা করা হয়। অভিযোগ, সে কাজও বেশি এগোয়নি। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অবৈজ্ঞানিক ভাবে বাজারের ছাদে মাছ বাজার বসানো হয়। সে কারণে মাছ বাজারের জলে বাজারের ছাদ নষ্ট হতে শুরু হতে থাকে। সে কারণে ছাদটি দুর্বল হতে শুরু করে বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ীদের দাবি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ নিজের দায়িত্ব এড়াতে, বাজার ভবনকে শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেই দায় সেরেছেন। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরেশ দে স্মৃতি মার্কেটের মাছ বাজারটি কুমলাই নদীর পাড়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, সে টাকায় কাজ শেষ করাটা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় আধিকারিকরাও। |