দল প্রতীক দেয়নি। তাই দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধেই ‘নির্দল’ হয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছিলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত জিতেছেন। ইন্দাস ব্লকের এমনই জয়ী কয়েকজন বিক্ষুদ্ধকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করল তৃণমূল। তাঁদের মধ্যে এক জন ইন্দাস পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং ১৪ জন বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য।
এর ফলে ত্রিশঙ্কু অবস্থায় থাকা আকুই ১ ও আকুই ২ এবং দীঘলগ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করার পথ মসৃন হয়ে গেল তৃণমূলের। রাজ্যের শিশুকল্যাণ মন্ত্রী তথা বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ইন্দাস ব্লকের আকুই ১, আকুই ২, ইন্দাস ১, দীঘলগ্রাম ও মঙ্গলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ জন নির্দল সদস্য এবং পঞ্চায়েত সমিতির এক নির্দল সদস্য আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁরা আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।” তাঁর কথায়, ঘরের ছেলেরা ঘরেই ফিরল।
ইন্দাসের একটি লজে রাজ্যের শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ওই অনুষ্ঠান হয়। পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্য সুকুমার রায়-সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্যেরা সেখানে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের প্রতীক না পাওয়ার মূলে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে, তার ছায়া দেখে গিয়েছে এ দিনের অনুষ্ঠানেও। ইন্দাস ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি রবিউল হোসেন ও তাঁর অনুগামীরা অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেও ছিলেন না ইন্দাসের তৃণমূল বিধায়ক গুরুপদ মেটে। দল সূত্রের খবর, এ দিন তিনি দিনভর ইন্দাসেই ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন বিধায়কের অনুগামীরাও।
গুরুপদবাবু বলেন, “আমি এলাকার বিধায়ক এবং দলের ব্লক সভাপতিও। কিন্তু এ রকম অনুষ্ঠানের খবর আমাকে জানানো হয়নি।” তাঁর অভিযোগ, “যাঁরা এই ক’দিন আগে সিপিএমের সমর্থন নিয়ে আমাদের দলের প্রার্থীদের হারিয়েছেন, তাঁদেরই তো ফিরিয়ে নেওয়া হল। এতে কী বার্তা যাচ্ছে?” শ্যামবাবু অবশ্য এই মন্তব্য প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি। |