পুরনির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা খেল হাবরার কংগ্রেসের সংগঠন। রবিবার স্থানীয় কংগ্রেস নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনার জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সাহা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন।
রবিবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে নারায়ণবাবু তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “দলে “নারায়ণবাবুকে স্বাগত জানাচ্ছি। হাবরা পুরভোটের আগে নারায়ণবাবু দলে আসায় তৃণমূল উপকৃত হবে।”
২১ সেপ্টেম্বর হাবরায় পুরভোট। এ বার ২৩টি আসন বেড়ে ২৪টি হয়েছে। ২০০৮ সালে পুরভোটে কংগ্রেসের আসন ছিল একটি। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা নীলিমেশ দাস নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয়ী হন। সে বার কংগ্রেস সব আসনে প্রার্থী দেয়নি। হাবরায় যে ক’জন কংগ্রেস নেতা রয়েছেন নারায়ণবাবু তাদের অন্যতম। মাস খানেক আগে তৎকালীন হাবরা শহর কংগ্রেসের সভাপতি নীলিমেশ দাসও তৃণমূলে যোগ দেন। এ বার দল ছাড়লেন নারায়ণবাবুও। যদিও তাঁর দলত্যাগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা স্থানীয় কংগ্রেস নেতা বিশ্বজিৎ সমাদ্দার বলেন, “পুর-ভোটে টিকিটের লোভে নারায়ণবাবু দল ছেড়েছেন। তাতে এখানে কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি হবে না। দলের কথা না ভেবে যারা ব্যক্তি স্বার্থের কথা ভাবে, তারা দল ছাড়লে দলের উপকারই হবে।”
নারায়ণবাবুর বক্তব্য, “প্রদেশ নেতৃত্ব দলীয় কর্মী সমর্থকদের দিশা দেখাতে পারছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় খারাপ ফলের পিছনে রয়েছে নেতৃত্বের ব্যর্থতা। সিপিএম বিরোধী লড়াই করতেই আমার এই সিদ্ধান্ত।” |