বাড়ির উঠোনে গাছে গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির শিয়াখালার রঘুনাথপুরে। মৃতের নাম স্বপন দাস (৪৮)। তিনি পানের ব্যবসা করতেন।
|
স্বপন। |
বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা জমিয়েছিলেন স্বপনবাবু। সেই টাকা ফেরৎ না পাওয়াতেই হতাশায় আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১২টা নাগাদ খেয়ে শুয়ে পড়েছিলেন স্বপন। সকালে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী বন্দনাদেবী দেখতে পান, বাড়ির উঠোনে জামগাছে গলায় নাইলনের দড়ি দেওয়া অবস্থায় স্বামীর দেহ ঝুলছে। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশেরও অনুমান, স্বপনবাবু আত্মঘাতী হয়েছেন।
মৃতের পরিবারের দাবি, স্বপনবাবু কয়েকটি অর্থলগ্নি সংস্থায় লক্ষাধিক টাকা জমা রেখেছিলেন। ডাকঘর থেকে টাকা তুলেও তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় আমানত করেন। মৃতের ছোট ছেলে সঞ্জয় বলেন, “বাবা যে বেসরকারি সংস্থায় অত টাকা রেখেছেন, সারদা-কাণ্ডের পরে তা জানতে পারি। সব টাকা তুলে নিতে চাইছিলেন। কিন্তু পারেননি। বাবার আত্মহত্যা তারই পরিণতি।” তাঁর দাবি, মাসখানেক আগেও স্বপনবাবু দু’বার আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। বন্দনাদেবী বলেন, “অত কষ্ট করে জমানো টাকা আদৌ ফেরত পাবেন কিনা, সেই চিন্তায় চিন্তায় স্বামী ইদানীং মনমরা হয়ে থাকতেন।” |
এ ব্যাপারে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মৃতের বাড়ির লোক লিখিত ভাবে তাদের জানিয়েছেন, সারদা-কাণ্ডের পরে অর্থলগ্নি সংস্থায় জমানো টাকা তুলতে না পেরে স্বপনবাবু হতাশার জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে, জমানো টাকার পরিমাণ বা এজেন্টদের ব্যাপারে কিছু জানাননি পরিবারের লোকজন। এসডিপিও (শ্রীরামপুর) রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানান, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে তদন্ত চলছে। অর্থলগ্নি সংস্থার ব্যাপারে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |