এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার পীরতলায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শুকুর মণ্ডল (২২)। বাড়ি পাশেই শ্রীরামপুর গ্রামে। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে মুম্বই রোডের ডিভাইডারের উপরে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুকুরের আত্মীয়া এক তরুণী সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ পীরতলায় মুম্বই রোডের ধারে দাঁড়িয়ে শেখ শামিম নামে এক যুবকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, শামিম তাঁর পরিচিত। দু’জনের বাড়িই শ্রীরামপুরে। আচমকা ঘটনাস্থলে হাজির হন শুকুর। শামিমের সঙ্গে নিজের আত্মীয়াকে কথা বলতে দেখে তিনি রেগে যান। তরুণীর গালে চড় মারেন। মেয়েটিকে বাড়িও ফিরে যেতে বলেন। শুকুরের কথা শুনে তরুণীটি বাড়ি ফিরে যান। পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, তিনি বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পান শামিম এবং শুকুরের মধ্যে মারপিট বেধে গিয়েছে। বাড়ি ফিরে গ্রামের লোককে তিনি খবর দেন।
রবিবার দুপুরে ওই তরুণীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ শামিমের বিরুদ্ধে শুকুরকে খুনের মামলা রজু করে তদন্ত শুরু করেছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, মারের চোটেই শুকুর মারা গিয়েছেন, নাকি মারপিট করার সময়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গাড়ি চাপা পড়েছেন, তা জানা যাবে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে।
পুলিশের কাছে শামিমের বিরুদ্ধে শুকুরকে খুনের অভিযোগ করলেও লিখিত ভাবে ওই তরুণী পুলিশকে এ কথাও জানিয়েছেন, শামিম তাঁর সঙ্গে কোনও খারাপ আচরণ করেননি। উলুবেড়িয়ার এসডিপিও শ্যামলকুমার সামন্ত বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক। তাকে ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” |