পঞ্চায়েত ভোটের পরেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষ চলছেই। রবিবার বাসন্তীতে আরএসপি-তৃণমূল সংঘর্ষ ও ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষে কয়েক জন জখম হয়েছেন। বাসন্তীর ভাঙনখালিতে আরএসপি সমর্থকের বাড়িতে ঢুকে মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ডায়মন্ড হারবারের পাটদহ গ্রামে সিপিএম তৃণমূল সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত পাঁচ জন জখম হন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে বাসন্তীর ভাঙনখালি বাজারে তৃণমূল এবং আরএসপির কয়েক জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন ভাঙনখালি বাজারের কাছে রশিদ সরদারের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। আরএসপির কয়েক জন সদস্য তাদের বাধা দিলে তাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
আরএসপির সংযুক্ত কিষান সভার জেলা কমিটির সদস্য রশিদ সরদার বলেন, ভোটে জেতার পর থেকেই ওরা লাগাতার সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ওদের মারে আমাদের ৫ জন জখম হয়েছেন।” অভিযোগ অস্বীকার করে বাসন্তীর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মান্নান শেখ বলেন, “ভোটে হারার পর ওরা এ দিন ভাঙনখালি বাজারে আমাদের এক কর্মীকে মারধর করে। আমাদের কয়েকজন ওদের বাড়িতে গিয়ে তার প্রতিবাদ করে। কাউকে মারধর করা হয়নি। ভাঙচুরও না। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে আমাদের ছেলেরা ওদের বাড়ি গিয়ে ঠিক করেনি।”
ডায়মন্ড হারবারের কামারপোল পঞ্চায়েতটি গতবার কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের দখলে থাকলেও এ বার সেখানে জিতেছে সিপিএম। পাটদহের মোল্লাপাড়া বুথে জেতে সিপিএম। পূর্বপাড়ায় জেতে তৃণমূল। এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সিপিএম গ্রামে মিছিল করছিল। সেই সময়ে গ্রামেরই শান্তি কমিটির লোকজন এক মদ্যপ সিপিএম সমর্থককে মারধর করে। তা দেখে মিছিলের কয়েক জন শান্তিকমিটির লোকজনের উপর চড়াও হয়। শান্তিকমিটিতে সব দলের লোক থাকলেও সিপিএমের দাবি, তৃণমূলের লোকই তাদের কর্মীকে মারধর করে। এর জেরে দুই দলে বচসা, হাতাহাতি শুরু হয়। ডায়মন্ড হারবার ২ ব্লকের তৃণমূল নেতা অরুময় গায়েনের দাবি, “সিপিএমের লোকেরা আমাদের দুই সমর্থকের মাথা ফাটিয়ে দেয়।”
সিপিএম নেতা খোকন মোল্লার অভিযোগ, “শান্তি কমিটিতে থাকা তৃণমূলের লোকেরাই আমাদের তিন কর্মীকে মারে।” পুলিশ জানিয়েছে, শান্তি কমিটির সম্পাদক আমিন মোল্লা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। |