টুকরো খবর |
নন্দীগ্রামে জয়ী নির্দলরা ফের তৃণমূলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নন্দীগ্রামের সামসাবাদের পর আমদাবাদেও জয়ী নির্দল প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগ দিলেন। রবিবার নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের আমদাবাদ হাইস্কুলের কমিউনিটি হলে আয়োজিত এক সভায় সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে শিপ্রা মান্নাকে উপ-প্রধান পদে নিযুক্ত করার ঘোষণা করেন শুভেন্দুবাবু। আর প্রধান হিসাবে তৃণমূলের টিকিটে জেতা পবন গায়েনের নাম ঘোষণা করা হয়। এ বার ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছিল, নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের আমদাবাদ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৬টি ও বাকি আসনে নির্দল প্রার্থীরা জয় হয়েছেন। ফলে টাই হয়েছিল ওই পঞ্চায়েত। এর জেরে কোন পক্ষ বোর্ড গঠন করে তা নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলের। তবে, ওই নির্দল সদস্যরা এলাকায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। রবিবার তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন। এ দিন আমদাবাদ হাইস্কুলের কমিউনিটি হলে তৃণমূলের জয়ী সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানেই ওই নির্দল সদস্যদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয়ী সদস্যরা আমাদের দলের পুরানো কর্মী। তাই সবাইকেই দলের সদস্য হিসাবে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।” সম্প্রতি নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী ৭ নির্দল ও ২ কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য গড়চক্রবেড়িয়ার এক অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দল সদস্যরা সংখ্যা গরিষ্ঠ ছিলেন। তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সেখানেও বোর্ড গড়ার দিকে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল।
|
দুঃস্থ পড়ুয়ার স্বপ্নপূরণে স্কুলের সাহায্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
এ বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩০৫১ র্যাঙ্ক করেছেন ঝাড়গ্রামের সর্ডিহা অঞ্চলের দুর্গাপুর গ্রামের শুভঙ্কর পাল। দরিদ্র পরিবারের বছর সতেরোর এই কৃতী ছাত্রটি জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার জন্য নির্বাচিত হন। শুভঙ্করের বাবা জগন্নাথ পাল পেশায় দিনমজুর। অর্থাভাবে শুভঙ্করের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হওয়া কার্যত অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এগিয়ে এলেন মানিকপাড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। এই স্কুল থেকেই এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৩৩ নম্বর পেয়ে শুভঙ্কর স্কুলের মধ্যে প্রথম এবং ঝাড়গ্রাম মহকুমায় দ্বিতীয় হন। শনিবার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা মোট ১৩ হাজার ৮৫০ টাকা সংগ্রহ করে শুভঙ্করের মা সুলেখাদেবীর হাতে তুলে দেন। স্কুলের টিচার ইন চার্জ আল্পনা দত্ত বলেন, “শুভঙ্কর ওর সমস্যার কথা জানাতে কুণ্ঠাবোধ করছিল। ওর পরিবার সূত্রে সমস্যার কথা জানতে পেরে সকলেই সাধ্যমতো সাহায্য করেছেন। কিন্তু এই সাহায্য সিন্ধুতে বিন্দুবৎ। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য দেড় লক্ষ টাকা প্রয়োজন। সহৃদয় কেউ এগিয়ে এলে মেধাবী ছাত্রটির পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া সহজ হবে।” রবিবারই শুভঙ্কর জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ফোনে শুভঙ্কর বললেন, “পরিচিত জনের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা সংগ্রহ করেছিলাম। তাতে খরচ উঠছিল না। স্কুল সাহায্য করায় ভর্তি হতে যাচ্ছি।”
|
জয়ীদের নিয়ে সভা সিপিআইয়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে এক সভা করল সিপিআই। শনিবার দলের জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এই সভায় ছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ প্রবোধ পাণ্ডা, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা প্রমুখ। এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিআইয়ের সবমিলিয়ে ৬৯ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে পঞ্চায়েত সমিতির ৯ জন এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬০ জন। দলের জেলা সম্পাদক সন্তোষবাবু জানান, কোনও অবস্থাতেই দলের জয়ী প্রার্থীরা পঞ্চায়েত গড়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেস- তৃণমূলের মতো দলগুলোকে সমর্থন করবেন না। বামফ্রন্টের সিদ্ধান্ত মেনে চলবেন। পাশাপাশি, তাঁর বক্তব্য, “নির্বাচনের আগে থেকে জেলায় ধারাবাহিক সন্ত্রাস চলেছে। দলীয় কর্মী- সমর্থকেরা আক্রান্ত হয়েছে। নির্বাচনের দিনও ব্যাপক ভাবে বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোট করা হয়। না- হলে ফল ভাল হত।”
|
জমির দখল নিয়ে সংঘর্ষ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
পাট্টাজমি দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে সংঘর্ষ বাধল খেজুরি থানার দক্ষিণ কলমদান জালপাই গ্রামে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হেঁড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও সার্কেল ইন্সপেক্টর চম্পক চৌধুরী গ্রামে যান। ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক ও চারটি তাজা বোমা উদ্ধার করা ছাড়াও তিন জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছেন সুধীর বেরা নামে এক ব্যক্তি। তাঁকে সমর্থন করেছিলেন তিন পাট্টাজমি প্রাপক সন্তোষ দাস, বাদল বেরা ও রামশঙ্কর গিরি। অভিযোগ, এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রবিবার সকালে তৃণমূল কর্মী শ্রীনিবাস গিরি, তরুণ মাহাড় ও প্রজাপতি জানার নেতৃত্বে একদল দলীয় কর্মী-সমর্থক ওই তিন জনের পাট্টাজমি দখল করতে যায়। এরপরেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
|
লরির সংঘর্ষ, মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
দু’টি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক খালাসির। জখম তিন জন। শনিবার সকালে কোলঘাট থানার পানশিলায় দেহাটি সেতু সংলগ্ন ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম ওহিদ আলি (৪৫)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে। এ দিন অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মাছ বোঝাই একটি লরি কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। দেহাটি সেতুর কাছে হাওড়া থেকে খড়্গপুরগামী একটি ছোট লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় লরিটির। ছোট লরির খালাসি ওহিদ আলি ঘটনাস্থলেই মারা যান। মাছ বোঝাই লরির চালক ও খালাসি এবং ছোট লরির চালক জখম হন। পুলিশ লরি দু’টিকে এবং মাছ বোঝাই লরির চালক ও খালাসিকে আটক করেছে।
|
ক্ষুদিরামের জন্মভিটেয় শহিদ স্মরণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
কেশপুরের মোহবনিতে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র। |
শহিদ ক্ষুদিরামের আত্মবলিদান দিবস স্মরণে রবিবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল কেশপুরের মোহবনিতে, শহিদের জন্মস্থানে। উপস্থিত ছিলেন তমলুকের সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী, তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি তপন চক্রবর্তী, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি চিত্ত গড়াই প্রমুখ। ক্ষুদিরামের জন্মভিটেয় প্রতি বছরই ১১ অগস্ট দিনটি নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে শহিদের আত্মবলিদান দিবস পালন করা হয়। দিনভর ধরে চলে নানা অনুষ্ঠান। শহিদ ক্ষুদিরাম বসু স্মৃতি রক্ষা সমিতির উদ্যোগে এই কর্মসূচি। এ বারও তাই হয়েছে। প্রভাতফেরী দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়। কেশপুরের মাধ্যমিক- উচ্চমাধ্যমিক কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধিতও করা হয়। সমিতিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার আশ্বাস দেন তমলুকের সাংসদ।
|
কৃতী-সংবর্ধনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
|
২০১৩ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কুর্মি সম্প্রদায়ের কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দিল ‘কুর্মিক্ষত্রিয় মহাসঙ্ঘ’। রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি অতিথিশালায় ৫৫ জন কৃতী পড়ুয়াকে সম্মাননা জানানো হয়। ছিলেন শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো, প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপিকা লীলা মাহাতো, শিক্ষাব্রতী বেণীমাধব মাহাতো, কৃষি বিশেষজ্ঞ জন্মেঞ্জয় মাহাতো প্রমুখ। |
|