|
|
|
|
অন্নপূর্ণা যোজনা |
বরাদ্দ নেই, পাঁচ মাস চাল পাননি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শেষ চাল মিলেছিল গত মার্চ মাসে। তারপর আর অন্নপূর্ণা যোজনায় চাল বিলি হয়নি পশ্চিম মেদিনীপুরে। দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে প্রাপ্য চাল না পাওয়ায় সঙ্কটে পড়েছেন দরিদ্র পরিবারের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। কেন এই পরিস্থিতি তা নিয়ে মুখে কুলুপ জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের কর্তাদের। জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায় শুধু বলেন, “এ বার এই প্রকল্পে চাল আসছে। এক সঙ্গে পাঁচ মাসের চাল দিয়ে দেওয়া হবে।”
অন্নপূর্ণা যোজনায় একজন গরিব ব্যক্তি নিখরচায় মাসে ১০ কেজি চাল পান। বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় অন্নপূর্ণা যোজনার আওতায় ৩৬০০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। মার্চ মাসে তাঁরা শেষবার চাল পেয়েছিলেন। এপ্রিল মাস থেকেই আর বরাদ্দ চাল আসেনি। হতদরিদ্র মানুষগুলি চরম সঙ্কটে পড়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, “আমরা গরিব মানুষ। সহজে কেউ চাল ধার দিতে চায় না। সরকারের ওই চাল পেলে তবে হাঁড়ি চড়ে। ৫ মাস ধরে খুবই সমস্যায় রয়েছি।” জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সমস্যার কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এত দেরি না হয় সেই আশ্বাসও মিলেছে। এ বার একবারে ৫ মাসের বরাদ্দ পাঠিয়ে দিয়েছে সরকার। চলতি মাসেই প্রকল্পের আওতাধীন সকলে এক সঙ্গে ৫ মাসের বরাদ্দ দিয়ে দেওয়া হবে।
অন্নপূর্ণা যোজনায় কারচুপির অভিযোগও ওঠে। গ্রামের হতদরিদ্র গরিব মানুষের পক্ষে কোন মাসে বরাদ্দ এল, কত মাসের বরাদ্দ এল জানা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অনেক সময়ই দু’-এক মাসের বরাদ্দ দেয় না বলে অভিযোগ। জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতর জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে কড়া নজরদারি চালানো হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ামক। |
|
|
|
|
|