|
|
|
|
ধানবাদে পরিত্যক্ত খনিতে নদীর জল
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
পরিত্যক্ত খনিতে কয়লা তুলতে নেমেছিলেন জনা পনেরো গ্রামবাসী। দেওয়াল ভেঙে আচমকা নদীর জল ঢুকে পড়ে ওই খনিতে। আটকে পড়েন সকলে। গত রাতে ধানবাদের নিরসায় ঘটনাটি ঘটে। উদ্ধারকাজ শুরু করে প্রশাসন। পুলিশ জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩-৪ জন গ্রামবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিরসার আশপাশে কয়েকটি পরিত্যক্ত খনি রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বেআইনিভাবে কয়লার সন্ধানে পোটকা এলাকার একটি খনিতে নেমেছিলেন গ্রামবাসীরা। খনির পাশেই রয়েছে খুদিয়া নদী। প্রবল বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছিল। হঠাৎ কয়লা খনিতে ঢুকে যায় নদীর স্রোত। বন্ধ হয়ে যায় খনি থেকে বের হওয়ার রাস্তাগুলি।
খবর পেয়েই এলাকার বাসিন্দারা ভিড় জমান। পুলিশ, প্রশাসনের কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। বৈদ্যুতিক পাম্প বসিয়ে খনি থেকে জল বের করার কাজ শুরু হয়। |
|
পরিত্যক্ত কয়লা খনিতে আটকে থাকা গ্রামবাসীদের উদ্ধারের
চেষ্টা। রবিবার ধানবাদের নিরসায় চন্দন পালের তোলা ছবি। |
নিরসার ডিএসপি অম্বর লাকড়া বলেন, “কয়েকজন গ্রামবাসী বের হয়ে এসেছেন। খনিটির গভীরতা খুব বেশি নয় বলে মনে হচ্ছে। তা-ই খুব বড় কোনও দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।”
এক পুলিশ কর্তার বক্তব্য, খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দিলেও, অনেক সংস্থাই খনির মুখগুলি বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে না। তার জেরেই এ ভাবে বেআইনি খনন চলে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে তাতেই। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ উদ্যোগী হয়ে ওই ধরনের খনি ভরাট করে।
এলাকার বিধায়ক অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বর্ষায় নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। সে কারণে উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে। পরিত্যক্ত ঘোষণার পর খনিতে ঢুকবার রাস্তাগুলি বন্ধ করে দিলেই দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমে। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।” |
|
|
|
|
|