|
|
|
|
সংসদে আজ ঝড় উঠবে কাশ্মীর নিয়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
অশান্ত জম্মু-কাশ্মীর। সঙ্গে বিজেপির উষ্মা। দুইয়ে মিলে কাল থেকে ফের ঝড় ওঠার আশঙ্কা বাদল সংসদে। আজ সীমান্তে ফের পাক বাহিনীর গুলিতে আহত হন বিএসএফের এক জওয়ান। নতুন করে সংঘর্ষের খবর এসেছে কিস্তওয়ার থেকেও। এর মধ্যে বিজেপি অরুণ জেটলি আজ কিস্তওয়ারে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে জম্মু বিমানবন্দরে আটকে দেয় প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই তাঁকে কিস্তওয়ারে যেতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।
যদিও বিজেপি এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাদের সমর্থকরা এ দিন জম্মুতে বিক্ষোভ দেখান। জেটলিকে যে ভাবে রোখা হয়েছে তা অগতান্ত্রিক বলে আখ্যা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। কাল সংসদেও বিষয়টি নিয়ে সরব হবে বিজেপি। তবে খাদ্য সুরক্ষা বিলে সম্ভবত এর আঁচ পড়বে না। কাল বিলটি সংসদে ওঠার কথা। বিজেপি নেতৃত্ব আজও জানিয়েছেন, বিলটিকে তারা সমর্থন করবেন।
পুঞ্চে পাক হামলায় পাঁচ ভারতীয় সেনার মৃত্যুতে এমনিতেই অস্বস্তিতে পড়েছে মনমোহন সরকার। এ নিয়ে সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির পরস্পরবিরোধী মন্তব্যে যে অস্বস্তি আরও তীব্র হয়। পরে অ্যান্টনি নিজের বিবৃতি বদল করতে বাধ্য হন। এ নিয়ে লালকৃষ্ণ আডবাণী আজ বলেছেন, “প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ওই বিবৃতি দেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি করেছে। যা সংশোধন করা সম্ভব নয়।” এক ধাপ এগিয়ে মোদীর আক্রমণ, “ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবেই প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতৃত্ব জাতীয় সুরক্ষাকে উপেক্ষা করছেন। এই সরকার দেশকে নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।”
আজ কিস্তওয়ারে ফের দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় জম্মু ও রাজৌরি জেলার কিছু অংশে কার্ফু জারি করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। এরই মধ্যে কিস্তওয়ারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অরুণ জেটলি। তাতে উত্তেজনা ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় জেটলিকে জম্মু বিমানবন্দর থেকেই দিল্লিতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিরোধী দলনেত্রী মেহবুবা মুফতিকেও কিস্তওয়ারে যেতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে জম্মুতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। দিল্লি ফিরে জেটলি বলেন, “কিস্তওয়ারের বিপর্যস্ত পরিবারগুলির মনোবল বাড়াতেই আমি সেখানে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে কী ঘটেছে, সে সব গোপন রাখতে সংবাদমাধ্যমেকেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না।” জম্মু-কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওই এলাকায় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানোরও অভিযোগ তোলেন জেটলি। যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে ওমর জানিয়েছেন, “বিজেপি অযথা রাজনীতি করেছে। গণ্ডগোল যাতে আর না বাড়ে তাই সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।” কংগ্রেসের মতে, ঠিক কাজই করেছেন ওমর। রশিদ অলভি বলেন, “জেটলি গেলে পরিস্থিতি আরও অশান্ত হতে পারত।”
পাক হানা, অশান্ত জম্মু-কাশ্মীর ও বিজেপির উষ্মার জেরে কাল থেকে সংসদে যে ঝড় উঠতে চলেছে, তা কী ভাবে মোকাবিলা করা যাবে, সেটাই এখন বড় ভাবনা কংগ্রেসের। কারণ বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে, নিরাপত্তার প্রশ্নেও কংগ্রেসকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে কাল থেকে সংসদে ঝাঁপাবে তারা। |
|
|
|
|
|