|
|
|
|
কামতাপুর নয়, বৃহত্তর অসম চান পরেশ, দাবি ছাত্রনেতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
পৃথক রাজ্যের দাবি সরিয়ে কোচ-রাজবংশীদের ‘বৃহত্তর অসমে’ সসম্মানে ও স্বাধিকারে থাকতে আহ্বান জানালেন আলফা স্বাধীনের প্রধান পরেশ বরুয়া।
কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনে সামিল কোচ-রাজবংশী ছাত্র সংগঠন ‘আক্রাসু’ সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় জানান, অজ্ঞাত কোনও জায়গা থেকে আজ তাঁকে ফোন
করেন পরেশ। আলফা নেতা তাঁকে বলেছেন, রাজবংশীদের আন্দোলন সঠিক। প্রয়োজনে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং-সহ যে ছ’টি জেলা নিয়ে কামতাপুর গঠন করতে বিশ্বজিৎরা লড়াই চালাচ্ছেন, সে গুলিও ‘বৃহত্তর অসমের’ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা করবেন। তবে আক্রাসু জানিয়েছে, আলফা নেতার অনুরোধ সত্ত্বেও তাঁরা নিজেদের দাবিতেই
অনড় থাকবে।
অসমের ১৫টি জেলার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহকে প্রস্তাবিত কামতাপুর রাজ্যের আওতায় নিয়ে আসার দাবি তুলেছে আক্রাসু। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাঁদের দাবির সংঘাত অনিবার্য।
বিশ্বজিৎবাবুর বক্তব্য, ‘‘সে রকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে না। আমরা কামতাপুরে বড়ো, গোর্খাদের অবদান সসম্মানে মনে রেখে
রাজ্যের ভিতরেই তাঁদের স্বশাসিত রাজ্য দেব।”
আক্রাসু নেতা জানান, তাঁদের আন্দোলনকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্যের কথা বলেননি পরেশ। তিনি রাজবংশীদের স্বাধিকারের দাবির ঐতিহাসিক ভিত্তিকে সমর্থন করেছেন। বিশ্বজিৎ বলেন, “অসম থেকে পৃথক না-হয়ে বৃহত্তর অসমের মধ্যে সসম্মানে থাকতে অনুরোধ জানান পরেশবাবু। আমাদের দাবিমতো পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি এলাকা বৃহত্তর অসমের অর্ন্তভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনার কথাও বলেন।”
আজ কোচবিহারে কামতাপুর এবং বৃহত্তর কোচ-রাজবংশীদের তিনটি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন আক্রাসু-র সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়। এ বার থেকে অসম এবং বাংলার কোচ-রাজবংশীরা যৌথ আন্দোলন করবে বলে তিনি ঘোষণা করেন। আক্রাসু-র হিতেন বর্মণ গোষ্ঠী ঘোষণা করেছে, কামতাপুরের দাবিতে ১১টি সংগঠন যৌথভাবে ‘জাতীয় মহাসভা’ গঠন করে আন্দোলনে নামছে। ১৫ অগস্টের মধ্যে এ বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে ইতিবাচক বার্তা না-এলে তাঁরা ১০০০ ঘণ্টার অর্থনৈতিক অবরোধ শুরু করবেন। |
|
|
|
|
|