|
|
|
|
বিহার, উত্তরপ্রদেশকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার পথে কেন্দ্র
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
লোকসভা ভোটের আগে বিহার ও উত্তরপ্রদেশকে পিছিয়ে পড়া রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে চলেছে। জেডিইউ নেতা তথা
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের এই দাবি মেনে নেওয়ার উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়নের জন্য রাজ্যকে চার ভাগে ভাগ করার দাবি তুলেছেন বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী। উত্তরপ্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সে রাজ্যের শাসক সমাজবাদী পার্টিও। তাই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া গেলে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি-দু’পক্ষকেই খুশি করতে পারবে কেন্দ্র।
গত বাজেট অধিবেশনের সময়েই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য নতুন কিছু মাপকাঠি তৈরি করা হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি তৈরি করে অর্থ মন্ত্রক। সূত্রের খবর, গত কাল সেই কমিটি তার প্রাথমিক রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে। খুব শীঘ্রই তা কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারকে এই মর্যাদা দেওয়ার জোরালো প্রস্তাব থাকছে এই রিপোর্টে।
পিছিয়ে পড়া রাজ্যের মূল্যায়ন করতে বসে মোট ১১টি মাপকাঠি তৈরি করেছে কমিটি। তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বেকার সমস্যা, রাজ্যের আর্থিক হাল, সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলি। এগুলির ভিত্তিতে প্রত্যেকটি রাজ্যকে নম্বর দেওয়া হচ্ছে। তালিকার একেবারে শেষে যারা থাকছে তাদেরই এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হবে বলে স্থির হয়েছে। তবে ক’টি রাজ্য ওই মর্যাদা পাবে তা শেষ পর্যন্ত স্থির করবেন খোদ চিদম্বরম।
নীতীশ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই দাবিটি নিয়ে সরব ছিলেন। এই মর্যাদা পেলে বিভিন্ন প্রকল্পে বাড়তি কেন্দ্রীয় সাহায্য, ঋণশোধের ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়ার মতো সুবিধাগুলি পাবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য। রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, মোদী প্রশ্নে বিজেপি-র সঙ্গ ত্যাগ করার পর নীতীশের গুরুত্ব এখন কংগ্রেসের কাছে যথেষ্ট। তাই তাঁর দাবি মেনে জেডিইউ-র পাশে থাকাটা কংগ্রেসের রাজনৈতিক কৌশলের মধ্যে পড়ে। অন্য দিকে উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী ও মুলায়ম সিংহ যাদব- দু’জনের জন্যই দরজা খোলা রাখতে চাইছে কংগ্রেস।
পশ্চিমবঙ্গের পক্ষ থেকেও রাজ্যের জন্য বিশেষ আর্থিক সহায়তা ও কেন্দ্রীয় ঋণের উপর থেকে সুদ মকুবের জন্য দাবি জানানো হয়েছে দফায় দফায়। কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে একাধিক বার দেখা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই পশ্চিমবঙ্গকে এই ধরনের কোনও সুবিধা দেওয়া হয় কি না, সে দিকে নজর রাখছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। |
|
|
|
|
|